সন্ত্রাসী হামলায় নিহত কাহালু উপজেলার সামন্তহার গ্রামের সাবেক যুবদল নেতা ব্রাজিলের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে তার স্ত্রী মোছাঃ পপি বেওয়া রবিবার সকালে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ইং ০৮/০৬/২০২৪ তারিখে আমার স্বামী ব্রাজিলকে আসামী ১। মোঃ আমিনুল ইসলাম, ২। মোঃ সুলতান মন্ডল, ৩। মোঃ খরি দুলাল, ৪। মোঃ সাগর, ৫। মোঃ তানভীর, ৬। মোঃ আতিকুর, ৭। মোঃ সোহাগ, ৮। মোঃ আকতারুল মেম্বার, ৯। মোঃ রাজীব, ১০। মোঃ টিটন, ১১। মোঃ মঞ্জুরুল, ১২। মোঃ করিম, ১৩। মোঃ রাজু, ১৪। মোঃ সোহাগ, ১৫। মোঃ সহিদুল ওরফে রেকা, ১৬। মোছাঃ শিরিন আকতার'গণ গত ইং ০৮/০৬/২০২৪ তারিখে নৃসংশ ভাবে খুন করে। আমার স্বামী জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের হওয়ায় এবং আসামীগণ ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগের ছত্র ছায়ায় থেকে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগের সমর্থনে আমার স্বামীকে নৃশংস ভাবে খুন করিয়াছে। উক্ত অভিযোগে উল্লেখিত ব্যক্তিগণের বিরুদ্ধে বগুড়া কাহালু থানায় আমার শ্বাশুরী মোছাঃ আনজুয়ারা বিবি উক্ত আসামীগণের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যাহা কাহালু থানার মামলা নং- ১০ তারিখ- ০৯/০৬/২০২৪ ইং, জি.আর নং- ৯২/২০২৪ (কাহালু), আইনের ধারাঃ ১৪৩/৩৪১/৩০২/ ৩৪ দন্ডবিধি। পরবর্তীতে তরিঘরি করে আসামীর নাম বাদ পড়ায় এবং আসামীগণ পুলিশের সাথে যোগসাজস করে কিছু তথ্য বাদ দিলে আমার শ্বাশুরী উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে উল্লেখিত আসামীগণের বিরুদ্ধে জেলা বগুড়ার কাহালু থানার আমলী আদালতে গত ইং ২৯/০৭/২০২৪ তারিখে সংশ্লিষ্ট ধারা উল্লেখ করে এবং বাদ পরা আসামীগণ সংযুক্ত করে ১৯৭ সি/২০২৪ (কাহালু) মোকদ্দমা দায়ের করে। বিজ্ঞ আমলী আদালত উল্লেখিত মোকদ্দমা দুইটি পাশাপাশি তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। উক্ত মোকদ্দমা দুইটি দায়ের করার পর হইতে উল্লেখিত আসামীগণ সহ তাহাদের সহযোগী দস্যু প্রকৃতির লোকজন যথাক্রমে- ১। মোঃ তারিকুল ইসলাম, পিতা- সাত্তার, ২। ইমদাদুল পিতা- সলু, ৩। সাফি পিতা- বুলু, ৪। আবুল পিতা- আজিমুদ্দিন, ৫। ওয়াহাব পিতা- আজিমুদ্দিন, ৬। আমিনুর পিতা- মছির উদ্দিন তালুকদার, ৭। ইউনুস পিতা- আবুল, ৮। জিল্লু পিতা- হযরত, সকলের সাং- পোড়াপাড়া, থানা- কাহালু, জেলা- বগুড়াগণ উল্লেখিত আসামীগণের ছত্রছায়ায় থেকে আমাকে, আমার পরিবারের লোকজনকে, আত্মীয়- স্বজনকে ও উক্ত দুইটি মোকদ্দমায় সাক্ষীগণকে বিভিন্ন তারিখে ও সময়ে ভয়ভীতি ও দাবান, শাযান করিয়া আসিতেছে। আমার পরিবার পরিজন ও আত্মীয় স্বজন এবং আমাদের শুভাকাঙ্খিদের যেকোন সময় হত্যা করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে। তাহাদের ভয়ে আমরা বাড়ীতে বসবাস করিতে পারিতেছি না। অন্যরে ভাড়া লইয়া দুর্বিসহ জীবন যাপন করিতেছি।উল্লেখিত আসামীগণ এবং তাহার দলবল প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে আমাদেরকে খুঁজিয়া বেড়াইতেছে এবং তাহারা দিবালোকে প্রকাশ্যে অস্ত্র সহ মহড়া দিতেছে। আমরা নিরুপায় হইয়া তাহাদের সান্নিধ্য হইতে অন্তরালে পালাইয়া বেড়াইতেছি। আমাদের জমা-জমি হইতে ফসল ঘরে তুলতে দিবে না বলিয়া বিভিন্ন লোকের কাছে প্রকাশ করিতেছে। উল্লেখিত বিষয়গুলি আমার শ্বাশুড়ীর বাদীত্বে দায়েরকৃত মোকদ্দমার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট বারংবার বলা সত্বেও উক্ত মোকদ্দমার আসামীগণকে গ্রেফতার না করিয়া ঘটনার অন্তরালে আসামীগণের নিকট হইতে সুবিধা হাসিল করিয়া তাহাদিগকে গ্রেফতার এড়াইয়া চলিতেছে। এই কারণে আসামীগণ অতি উৎসাহী এলাকায় অত্যন্ত দাপটের সহিত আধিপত্য বিস্তার করিয়া আসিতেছে। তিনি বলেন, আমার একমাত্র পুত্র মোঃ ইসমাইল হোসেন (০৯ মাস) কে লইয়া আমি মানবেতর জীবন যাপন করিতেছি। আমার পরিবার এবং আত্মীয় স্বজন সহ আমার শ্বাশুড়ীর বাদীত্বে দায়েরকৃত মোকদ্দমার সাক্ষীগণ নির্বিঘ্নে ও স্বাধীন ভাবে আমার নিজ এলাকায় চলাফেরা ও বসবাস করিতে চাই। খবর বিজ্ঞপ্তির