
জয়পুরহাটের পাঁচবিবির ধরঞ্জী ইউনিয়নের সমসাবাদ মধ্যপাড়া মসজিদ জোরপূর্বক স্থানান্তরের প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে পাঁচবিবি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ঐ গ্রামের ভুক্তভোগী মুসল্লীরা। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে মুসল্লিদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, একই গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের পুত্র মোঃ আতাউল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সমসাবাদ মধ্যপাড়া মসজিদটি জমিদাতার মৌখিক দানকৃত স্থানে পাকিস্তান আমল থেকে প্রতিষ্ঠিত এবং সেখানে দীর্ঘকাল থেকে নামায আদায় হয়ে আসছে। জমিদাতা ২০০৭ সালে ৫৯৯৯ নং দলিলমূলে ১৫২৩ দাগে ৪.৫ শতক জমি চৌহদ্দি উল্লেখপূর্বক রেজিস্ট্রি করে দেয়। কিন্তু ২০২০ সালের দিকে মসজিদের নতুন কমিটি গঠনের পর থেকে কমিটির সভাপতি মোঃ আইনুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল আজিজ মসজিদ সংলগ্ন জমির মালিকের সাথে বিরোধের জেরে তাদের জমি দখল করে সেখানে মসজিদ স্থাপনের নিমিত্তে কোন রকম মিটিং-রেজুলেশন ছাড়াই মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলে এবং পাশের একজন মালিকের জমিতে মসজিদ তৈরি করার উদ্যোগ নেয় ও চৌহদ্দিযুক্ত নির্দিষ্ট সেজদাহ স্থানকে অযৌক্তিকভাবে মূল মসজিদের বাইরে রেখে কাজ শুরু করে। যা সম্পূর্ণরুপে ইসলামী শরিয়া পরিপন্থী। এ ব্যাপারে আমরা এর বিরোধিতা করে থানায় একটি অভিযোগও দাখিল করেছি, কিন্তু কোন সুফল পাইনি। আমাদের চাওয়া একটাই সেজদাহ স্থানকে মূল মসজিদের মধ্যে অন্তর্ভূক্তি করা হোক।
ঐ মসজিদের মুসল্লী এটিএম রোকনুজ্জামান বলেন, ১৫২৪ দাগে মসজিদের জমি রয়েছে ২ শতক কিন্তু নকশায় ভুল করে হয়েছে ৪ শতক। সঙ্গত কারণে অতিরিক্ত ২ শতক জমি আমার জমির মধ্যে ঢুকে গেছে। নকশায় জমি বেশি থাকার কারণে আমি আদালতে মামলা করেছি। যা এখনো চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায় সে মামলাকে উপেক্ষা করে মসজিদ কমিটি মূল মসজিদটা ভেঙে আমার জায়গা দখল করার চেষ্টা করছে। আজ এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মুসল্লিরা পাঁচবিবি প্রেসক্লাবে এসে তাদের এই দাবি ও অভিযোগের কথা তুলে ধরেন এবং ইসলামবিরোধী কর্মকাÐ থেকে মসজিদ কমিটিকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান।