৪৮ বিঘা খাস পুকুর দুর্বৃত্তদের দখলে, ইউপি তহসিলদারের বিরুদ্ধে মৌখিক লিজ দেওয়ার অভিযোগ | Daily Chandni Bazar ৪৮ বিঘা খাস পুকুর দুর্বৃত্তদের দখলে, ইউপি তহসিলদারের বিরুদ্ধে মৌখিক লিজ দেওয়ার অভিযোগ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২৩:৪০
৪৮ বিঘা খাস পুকুর দুর্বৃত্তদের দখলে, ইউপি তহসিলদারের বিরুদ্ধে মৌখিক লিজ দেওয়ার অভিযোগ
উপজেলা সংবাদদাতা, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধাঃ

৪৮ বিঘা খাস পুকুর দুর্বৃত্তদের দখলে, ইউপি তহসিলদারের বিরুদ্ধে মৌখিক লিজ দেওয়ার অভিযোগ

গোবিন্দগঞ্জের রাজাহার ইউনিয়নের দেওনালা গ্রামের ৪৮ বিঘা খাসজমির মৌখিক বন্দবস্ত করে দেন ইউনিয়ন তহসিলদার সানাউল ইসলাম।  ফলে বছরের পর বছর কোন লিজ না নিয়েই তহসিলদারকে ম্যানেজ করেই এই পুকুর ব্যবহার করছে দুর্বত্তরা। সে কারনে প্রতি বছর রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। গত দুই বছর পূর্বে সকালের সময়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রাকাশিত হলে সহকারী কমিশনার (ভুমি) খাস পুকুর এবং জমি দখল মুক্ত করে উপজেলা মৎস অফিস থেকে ৭টি পুকুরে মাছ ছেরে দেওয়া হয়। মাছ ছেরে দিলেও গ্রামবাসী ঐ পুকুর গুলোতে নামতে পারে না কারন দখলবাজরা তহসিলদারের সাথে সক্ষতা করে উৎকোচের বিনিময়ে সকল ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকেন বলে জানায় স্থানীয় এলাকাবাসী।
তারা আরো বলেন, এই তহসিলদার দির্ঘবছর যাবত একই কাজ করছেন ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এক তহসিলদার চলেগেলে অন্য একজন আসে তার সাথেও একই ভাবে সক্ষতা করে থাকেন তারা ফলে কোন ব্যবস্থা নেয়না প্রশাসন। গত ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর দখলদাররা উক্ত পুকুর গুলোতে মাছ ধরার জন্য শ্যালো মেশিন লাগিয়ে পানি সেচে মাছ ধরে। এসময় স্থানীয়রা তহসিলদারকে ফোন করলে তিনি বলেন, আমি কি করবো আমার কিছু করার নেই। তখন তারা সাংবাদিকের কাছে ফোন করে। ফলে সাংবাদিকরা ২৪তারিখ সকাল ১০টার সময় ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে মাছ মারার প্রমান পায় এবং তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় জেলা প্রশাসক মহাদয়কে মোবাইলে জানানো হয়। তার নির্দেশে মাছ মারা বন্ধ হয় এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
ঘটনার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও এপর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা প্রশাসন। ফলে দখলদারদের দৌরাত্ব বেরেই চলছে দ্রুত ৪৮বিঘা খাস জমি দখল মুক্ত করার অনুরোধ স্থানীয় এলাকাবাসীর। অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ ইউপি তহসিলদার সানাউল ইসলাম বলেন, আমাকে উর্ধতনরা অভিযোগ দিতে নির্দেশনা দিলেই অভিযোগ দায়ের হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মিয়া বলেন, তাদের বিরুদ্ধে জিডি করার জন্য বলেছিলাম। তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি জানতে চাইলে তখন তিনি দায়সারা ভাবে বলেন, বৈরাগীর হাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রর অফিসারকে বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে।