প্রকাশিত : ২ অক্টোবর, ২০২৪ ২৩:১৯
নিয়ামতপুরে নারিকেলের দাম বেশি হওয়ায় নাড়ু তৈরিতে ভাটা
মো: ইমরান ইসলাম, নিয়ামতপুর, নওগাঁঃ
সপ্তাখানেক পরই ঢাক ঢোলের বাজনায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আমেজ শুরু হবে। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে মন্দিরে মন্দিরে মা দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।
দুর্গাপূজায় মা দুর্গাকে পূজার সময় হরেক রকমের ফলমূলে পাশাপাশি নারিকেল ও নারিকেলের নাড়ু দিতে হয়। এক থেকে দুই বছরের ব্যবধানে বিভিন্ন উপকরণের দামের সাথে নারিকেলের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। নওগাঁর নিয়ামতপুরে এবার নারিকেলের বাজার অত্যন্ত চওড়া৷ দোকানিরা নারিকেলের পসরা সাজিয়ে রাখলেও বেচা বিক্রি তেমন একটা নেই।
জানা যায়, দুর্গাপূজায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে বাড়িতে নাড়ু ও মোয়া বানানোর প্রচলন দীর্ঘদিনের। বাড়িতে আগত অতিথিদের আপ্যায়নেও নারিকেলের নাড়ু রাখতে হয়। নাড়ু-মোয়া তৈরির উপকরণের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণে এবার নাড়ু-মোয়া তৈরিতে যেন ভাটা পড়েছে। উচ্চবিত্তের ঘরে এবার নাড়ু-মোয়া তৈরি হলেও নিম্ন ও মধ্যবিত্তের ঘরে এগুলো তৈরিতে তেমন সাড়া নেই।
নিয়ামতপুর সদর বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গতবারের চেয়ে নারিকেলের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। গত পূজায় এক জোড়া নারিকেলের দাম ছিল আকারভেদে ৮০-১১০ টাকা। সেই নারিকেল এ বছর বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ১০০-১৮০ টাকায়।
নারিকেল বিক্রেতা নামজুল হক বলেন, এবার ডাবের দাম বেশি হওয়ায় নারিকেলের দামও একটু বেশি। নারিকেল মজুদ করে রাখলে অনেক সময় নারিকেল নষ্ট হয়ে যায়। দামের কারণে অনেকেই এবার পূজায় নারিকেল কম কিনছেন। আড়তেই নারিকেলের দাম বেশি, আমরাও বেশি দামে বিক্রি করছি।
নারিকেল ক্রেতা অসীম বলেন, দুর্গাপূজায় ফলমূলের পাশাপাশি মোয়া ও নাড়ু না থাকলে যেন পূজোয় জমে উঠে না। গত বছরের ন্যায় এবার প্রায় দ্বিগুন হারে নারিকেলের দাম বেড়েছে। গতবছর ১৮ টি নারিকেল নিয়েছি এবার ১০ টি নারিকেল কিনলাম। এবার পূজায় গত বছরের চেয়ে দ্বিগুন টাকা খরচ হবে।
নিয়ামতপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন বলেন, গত বছর উপজেলায় ৬৩ টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা হয়েছে। এবার উপজেলায় ৫৮ টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে। বাঁশ ও মাটির কাজ শেষ পর্যায়ে। মন্দিরে মন্দিরে রঙের কাজও শুরু হয়েছে। সব ধরনের উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার পূজার খরচ বেড়ে গিয়েছে।