চরম খাদ্য সংকটে গাজাবাসী। জ্বালানী সংকটে রুটিও পাচ্ছেনা তারা | Daily Chandni Bazar চরম খাদ্য সংকটে গাজাবাসী। জ্বালানী সংকটে রুটিও পাচ্ছেনা তারা | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর, ২০২৪ ২৩:০৬
Israeli–Palestinian conflict
চরম খাদ্য সংকটে গাজাবাসী। জ্বালানী সংকটে রুটিও পাচ্ছেনা তারা
নিজস্ব প্রতিবেদক

চরম খাদ্য সংকটে গাজাবাসী। জ্বালানী সংকটে রুটিও পাচ্ছেনা তারা

ফিলিস্তিনিরা উত্তর গাজার একটি দাতব্য রান্নাঘর থেকে খাবার সংগ্রহের চেষ্টা করছে। ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। -রয়টার্স

অক্টোবরে গাজার উত্তরাঞ্চলে কোনো খাদ্য সরবরাহ হয়নি, ফলে ১০ লাখ মানুষের ক্ষুধার শিকার হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে । শুক্রবার  বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) দ্বারা সিএনএনকে জানানো একটি খবরে এই ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। 

আগস্ট মাসে উত্তর গাজায় প্রায় ৭০০টি ত্রাণের ট্রাক পৌছেছিল। সেপ্টেম্বর মাসে এই সংখ্যা কমে ৪০০টিতে দাঁড়ায়, যখন পশ্চিম তীরে আলেনবী সীমান্তে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। WFP এর সূত্রে জানা যায় অক্টোবরে গাজার উত্তরাঞ্চলে কোনো খাদ্যের ট্রাক পৌছায়নি। 

বুধবার, WFP তাদের প্রতিবেদনে জানায় যে গাজায় পৌছানো ত্রাণের পরিমাণ মাসের সর্বনিম্নে পৌঁছেছে, ফলে অক্টোবরে খাদ্য প্যাকেট বিতরণ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। WFP আরও জানায়, “ক্ষুধা মারাত্মক রূপে বিস্তার লাভ করছে এবং দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা রয়েছে। যদি সাহায্যের পরিমাণ কমে যায় তবে , তবে ১০ লাখ মানুষ ক্ষুধা মন্দার শিকার  হবে।

এদিকে, কেন্দ্রীয় গাজার দুটি প্রধান রুটি প্রস্তুতকারী ব্যবসা তিন দিন বন্ধ রয়েছে, সিএনএন-এর ভিডিও ফুটেজ ও ব্যবসার কর্মচারীদের মতে- আল-বান্না এবং জাদনা বেকারির কার্যক্রম flour ও জ্বালানি সংকটের কারণে বন্ধ রয়েছে।

আল-বান্না বেকারির কর্মচারী আহমদ আবেদ বলেন, “আমি ছয় সদস্যের পরিবারের প্রধান। আমি কাজ করলেই পরিবারকে খাবার দিতে পারি। কাজ না করলে আমরা কিছুই খেতে পারি না।” তিনি আরও জানান, “মানুষ ময়দার জন্য তাড়া দিচ্ছে এবং আমরা বেকারির পেছনে রুটি খুঁজছি।”

প্যালেস্টাইনীয় এনজিও নেটওয়ার্কের পরিচালক আমজাদ আল-শাওয়া বলেন, “ময়দা ও অন্যান্য উৎপাদন সামগ্রীর অভাবের কারণে জরুরি রুটি তৈরি বন্ধ হয়ে গেছে।” তিনি যোগ করে আরো বলেন , “আমাদের বেশিরভাগ মানুষ এই ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এখন তারা ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি।”

রুটি প্যালেস্টিনীয়দের জন্য প্রধান খাদ্য এবং এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধের পর এটি একটি মৌলিক প্রয়োজনীয়তায় পরিণত হয়েছে।

এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, জাতিসংঘের OCHA জানিয়েছে: “সেপ্টেম্বর মাসে গাজায় বাণিজ্যিক এবং মানবিক সরবরাহের পরিমাণ মার্চ ২০২৪ থেকে সর্বনিম্ন।”

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ৬ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলে নতুন একটি স্থল অভিযান শুরু করেছে। নতুন জরুরি ত্রাণ নির্দেশনা জারি করেছে এবং দক্ষিণের আল-মাওসি এলাকায় “মানবিক অঞ্চল” সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়েছে। তবে কিছু বাসিন্দা সিএনএনকে জানিয়েছেন যে তারা গাজার উত্তরাঞ্চলের অবরুদ্ধ এলাকা ত্যাগ করতে সাহস পাচ্ছেন না, কারণ তারা ইসরায়েলি হামলা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করছে। সূত্র: সিএনএন