বগুড়ায় প্রতারণা করে ডেকে নিয়ে মারধর- টাকা আদায়, মামলায় প্রতারক মা মেয়ে-গ্রেফতার ও জেল-হাজতে প্রেরণ | Daily Chandni Bazar বগুড়ায় প্রতারণা করে ডেকে নিয়ে মারধর- টাকা আদায়, মামলায় প্রতারক মা মেয়ে-গ্রেফতার ও জেল-হাজতে প্রেরণ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ০১:৩৪
বগুড়ায় প্রতারণা করে ডেকে নিয়ে মারধর- টাকা আদায়, মামলায় প্রতারক মা মেয়ে-গ্রেফতার ও জেল-হাজতে প্রেরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

বগুড়ায় প্রতারণা করে ডেকে নিয়ে মারধর- টাকা আদায়, মামলায় প্রতারক মা মেয়ে-গ্রেফতার ও জেল-হাজতে প্রেরণ

১২ অক্টোবর বগুড়া সদর উপজেলার কাটনারপাড়া টিপটপ কমিনিউটি সেন্টারের পূর্ব পাশে -মুক্ত ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড এসি গ্যালারী- ওয়ার্কসপ দোকানের এসি টেকনিশিয়ানকে ডেকে নিয়ে মারধর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার এক ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে। অভিযোগে এসি টেকনিশিয়ান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত মা-মেয়ে ২ আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। 

   হত্যার হুমকির মাধ্যমে টাকা আদা  একই এলাকার এনায়েত আলী খান লেনের দেলোয়ার হোসেন দুলালের পাঁচতলা ভবনের ৫ম তলার ভাড়াটিয়া আটক করে। এরপর এলোপাথাড়ী ভাবে মারপিট করে ছেলা ফুলা জখম করে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে সর্বসাকুল্যে ১লক্ষ ৩৯হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে সদর থানায় মামলা করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১২ অক্টোবর রাত ৮ টার  সময় বগুড়া সদর থানার কাটনারপাড়া এলাকার এনায়েত আলী খান লেনের পাঁচতলা একটি ভবনের ৫ম তলার ভাড়াটিয়া পাপিয়া বেগম (৪০) ও মারজানা সুলতানা সিফা (১৯), আরিফ হোসেন (২০), সজিব (২২) ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মামলার বাদী আব্দুল আলীম (৩৩) কে দোকান হতে এসি কেনার কথা বলে কৌশলে ডেকে নেয়। এরপর মামলার আসামীরা তার ঘরে বাদীকে হাত পা-বেধে শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকে ও ২ লক্ষ টাকার দাবী করে। এক পর্যায়ে বাদী আব্দুল আলীমের কাছে থাকা আনুমানিক ৬৯ হাজার টাকার মূল্যের একটি মোবাইল কেড়ে নেয়। এ সময় সাথে থাকা ব্যাংকের কার্ডও আসামীগণ জোড়পূর্বক ছিনিয়ে নেয় ও নির্যাতন চালিয়ে পিন কোড জেনে নেয়। এরপর আসামীগণ ১৩ অক্টোবর রাত ১.৩০ এটিএম বুথ থেকে ৭০ হাজার টাকা তুলে নেয়। আসামীরা এই টাকা উত্তোলনের পর বিষয়টি কাউকে জানালে প্রানে মেরে ফেলবে মর্মে হুমকি প্রদান করে ছেড়ে দেয়। 

এ বিষয়ে  ভুক্তভোগী মামলার বাদী জানায় যে, গত ১২ অক্টোবর আসামীরা টাকার দাবীতে আমাকে হাত পা বেধে পাশবিক নির্যাতন করে। ১৩ অক্টোবর রাতে আমার ব্যাংক হিসাব হতে এটিএম বুথের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকা তোলার পর আমাকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে অনুমানিক বেলার  ১১টার দিকে আমি এনআরবিসি ব্যাংকের এটিএম বুথের হট লাইনে কল করে আমার একাউন্টটি বন্ধ রাখতে বলি। পরবর্তীতে সে নির্দেশনা অনুযায়ী একাউন্টির লেন দেন বন্ধ  করে দেওয়া হয়। এতে আসামীরা আমার একাউন্ট থেকে আর কোন টাকা উত্তোলন করতে পারেনি।

তিনি আরো জানান,  এ বিষয়ে আইনগত বিধি-ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বগুড়া সদর থানায় হাজির হয়ে একটি মামলা দায়ের করি এবং থানা পুলিশ এই প্রতারক চক্রের সদস্য মা-মেয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করে। 

এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মইন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানান যে, প্রতারক চক্রের ২ সদস্য আসামী মা-মেয়েকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও বাকি ২জন প্রতারক চক্রের আসামি পলাতক রয়েছে তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।