জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে বগুড়া শহরের সুত্রাপুর এলাকার আলী আকবার গোলাপ সোমবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “গত ৯ সেপ্টেম্বর বগুড়ার একটি প্রভাবশালী গং যথা ইউনিক পাবলিক স্কুল এর পরিচালক ও জাহিদুর রহমান মহিলা কলেজের প্রভাষক মো. তনছের আলী প্রাং ও একটি সরকারি বালিকা বিদ্যালয় এর শিক্ষিকা মাফরুহা জুয়ায়রার বিরুদ্ধে স্কুলের নামে জায়গা দখলের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম। আজ আমি তাদের চতুরতা সম্পর্কে অবগত করতে চাই। তনসের গং বগুড়া সদরের মালগ্রাম মৌজার ১৯৯৫ দাগে ১৯৬ শতক এর কা ৭৩ শতক জমি কেনে। এবার ওই জমি জবর দখলের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার [২২ অক্টোবর ২০২৪] ও বিতর্কিত ওই জমিতে স্কুলের অনুষ্ঠানের নামে কিছু কর্মকাণ্ড করতে যাচ্ছে। ওই জমির উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও এবং পৌরসভার নকশা অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও এবং নির্মাণ কাজ না হওয়া শর্তেও স্কুল ও কলেজ ভবন উদ্বোধন করতে যাচ্ছে। যা প্রতারণার সামিল। বগুড়া জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং পুলিশ সুপার মহোদয় কে কিছু না জানিয়ে বিতর্কিত স্থানে ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাদেরকে অতিথি করে বগুড়াবাসীর সামনে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করছে। তনসের আলীর অবৈধ কর্মকান্ড সম্পর্কে অবগত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বগুড়ার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বরাবর আবেদন করেছি। যা আজ শুনানী হয়েছে এবং পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে রয়েছে। তনসের গং ওই জায়গা কেনার জন্য শতাব্দী প্রনটিক এন্ড ডেভলপার্স এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গত ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার আইনগত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আমরা ঐ জমি আমাদের বলে দাবি করে তাকে অবগত করি এবং ডাক রেজিস্ট্রি যোগে ২৭ডিসেম্বর ২০১৬ ইং এ পত্র প্রেরণ করি। এরপরও তারা এই জমি কিনেন যে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মো: তনছের আলী গং জমি কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন তারা মূলত ওই জমির বৈধ ওয়ারিশ নন। সিএস, এম আর আর এর সুনির্দিষ্ট ওয়ারিশগণের কাছ থেকে তারা জমি কেনেননি। পক্ষান্তরে আমরা সিএস ও এম আর আর এর অংশীদার এবং আমরা সিএস ও এম আর আর এর অংশীদারদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছি। আমাদের বিরোধিতা শর্তেও মো: তনছের আলী গং ওই জমি ক্রয় করে বিরোধের সৃষ্টি করে। তারা বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ গত ২৯ আগস্ট মো তনদের আলী গং তার স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওই জায়গা দখলের চেষ্টা করে এবং পৌরসভার নক্সা অনুমোদন না থাকা শর্তেও স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করছেন, পৌরসভা নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও তা অমান্য করে নির্মাণ কাজ পরিচালনায় লিপ্ত। আমরা আমাদের স¤প্রতি রক্ষার্থে ২০১৬ সালে ১৮৬/১৬ মামলা আনয়ন করি। যা চলমান রয়েছে। মো: তনদের আলী গং ঐ স্থানে ভবন নির্মাণের জন্য পৌরসভায় নকশা দাখিল করলেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জমি বিরোধ থাকায় নকশা অনুমোদন করেনি। নকশা অনুমোদন না হওয়া সারেও তারা নির্মাণ কাজ করার অবৈধ চেষ্টা তারা নির্মান কাজ করার জন্য আমাদের ভোগ দখলকৃত টিনের ঘর ও গাছগাছালি কেটে ফেলে। সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে অনুরোধ করে আনাতে চাই তারা যেন সার্বিক দিক বিবেচনা করে একজন ভূমি দস্যুর ফাঁদে পা না দেয় এবং ইউনিক পাবলিক স্কুলের তথাকথিত ক্যাম্পাস উদ্বোধন না করেন।”
সোমবার বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহরের সুত্রাপুরের আলী আকবর গোলাপ।