বগুড়ায় বসতবাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে নগদ অর্থ,স্বর্ণালঙ্কার এবং একটি মোটর সাইকেলসহ জরুরী কাগজপত্র লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার গাবতলী উপজেলার সোনারয় ইউনিয়নেরু সাবেকপাড়া গ্রামে। এ বিষয়ে ৪জনের নাম উল্লেখপুর্বক গাবতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় অভিযোগটি দায়ের করেন উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের সাবেকপাড়া গ্রামেরআব্দুল হাই সরকারের পুত্র হায়াতুর রহমান। অভিযোগ সুেুুুত্র জানা যায়, বাদীর সাথে বগুড়া সদরের মাটিডালি বেইলি ব্রিজ এলাকার সানাউল হক সোনার পুত্র, রেহসানুল হক মহিভ, মৃত কছিম উদ্দিন এর পুত্র সানাউল হক সোনা, সানাউল হক সোনার স্ত্রী রেহেনা হক মালা এবং সানাউল হক সোনার কন্যা ছাবিনা ইয়াছমিন এর সাথে পুর্ব শত্রুতা ছিল। এরই সুত্র ধরে বাদি জেলে থাকার সুযোগে গত ৯ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ আনুমানিক সকাল ১১টার দিকে অভিযুক্তরা সুপরিকল্পিতভাবে বাদির বসতবাড়িতে জোড়পুর্বক অনধিকার প্রবেশ করে। এরপর তারা বাদির শয়ন কক্ষের তালা ভেঙ্গে স্টীলের আলমারিতে ব্যবসায়িক কাজে রক্ষিত নগদ বারো লক্ষ ষাট হাজার ১২ লাখ ২৬ হাজার টাকা, আলমারির ড্রয়ারে রক্ষিত সাড়ে ছয় ভরি ওজনের স্বর্ণের বিভিন্ন অলঙ্কার, জমির মুল দলিল, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি শিববাটি শাখার একটি চেক বই অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে নেয়। তারপর্ ঘরের বিভিন্ন মুল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করে ঘরের মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে। সব কার্য সম্পন্ন করে তারা যাবার সময় ঐ এলাকার সানাউল হক সানার পুত্র রেহসানুল হক মহিভ আমার ঘরের বারান্দায় রাখা আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল [এফজেড ভার্সন-থ্রি], যার রেজি নং বগুড়া-ল-১৩-৬৫০৭ তালা ভেঙ্গে নিয়ে যায়। এরপর বাদি গতকাল জামিনে মুক্ত হয়ে বাসায় এসে দেখেন সম্পুর্ণ পুর্ব পরিকল্পিতভাবে অভিযুক্তরা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে এসআই জাহিদ জানান তদন্তপুর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।