রাজশাহী মহানগরীর সাগড়পাড়া বড় পুকুর থেকে সঞ্জিত কুমার দাস ওরফে ঘনা ঘোষের (৪২) ভাসমান মরদের উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২ নভেম্বর) বেলা  ১২ টার দিকে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে সকালে স্থানীয়রা পুকুরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে। বিষয়টি  এলাকায় জানাজানি হলে আশেপাশের লোকজন পুকুর পাড়ে ভীড় জামায়। পরে ঘনা ঘোষের পরিবারের লোকজন মরদেহ দেখে চিনতে পারে।

সঞ্জিত কুমার দাস ওরফে ঘনা ঘোষ সাগরপাড়া এলাকায় ভাড়া বাড়ীতে বসবাস করতেন। তিনি ওই এলাকার মৃত কালিপদ দাসের ছেলে। তার দুই মেয়ে আছে। বড় মেয়ের নাম  বাবলী দাস। সে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। ছোট মেয়ে তন্নী দাস। সে  প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।

পারিবারিক সূত্র জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে সঞ্জিত কুমার দাস ওরফে ঘনা ঘোষ অন্যান্য দিনের মতই সারাদিন দুধ দহনের কাজকর্ম সেরে এসে রাতে পুকুরে ঘোসল করতে যায়। তার স্ত্রী সন্তানরা কালিপূজা উপলক্ষে মায়ের বাড়ীতে বেড়াতে যায়। তার মা বাড়ীতে একা ছিলো। সঞ্জিত কুমার দাস গোসলে গিয়ে আর ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজনকে জানানো হয়। তারা পরদিন কর্ম এলাকাসহ আত্নীয়-স্বজনদের বাসায় খোঁজ করেও সন্ধান পাননি।

শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে সাগড়পাড়া এলাকায় বড় পুকুর পাড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা মরদেহ দেখতে পেলে বিষয়টি  জানাজানি হয়। এ সময় আশেপাশের লোকজন মরদেহ দেখার জন্য ভীড় জমায়। পরে তার পরিবারের লোকজন মরদেহ দেখে চিনতে পারে। এ সময় তার পরনে ফুলপ্যান্ট, শরীরে জামা ও মাজায় গামছা বাঁধা ছিলো।

পরে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুকুর থেকে তার মরদেহ  উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মেহেদী মাসুদ জানান, মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।