সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে শিক্ষক কর্তৃক ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পিতা আলাউদ্দীন মন্ডল রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত একটি অভিযোগ করেছেন। ঘুড়কা ইউনিয়নের ঘুড়কা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ ও এলাকা বাসী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন গত ২৯ অক্টোবর ৭ম শ্রেণীর ক্লাস চলাকালীন সময় ঐ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এ, কে, এম ফজলুল হক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর (১৩) শ্লীলতাহানি করে এবং শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এসময় ঐ শিক্ষার্থী বাধা দিলে তাকে ভয়ভিতী দেখায়। গত ৬ নভেম্বর এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা আলাউদ্দিন প্রধান শিক্ষক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানায়, ঐ শিক্ষক অনেক দিন হলো আমার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় হাত দেয় এতে বাঁধা দিলে আমাকে ভয়ভীতি দেখায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক শিক্ষার্থী জানায় গত ২০১৪ সালে বিদ্যলয়ের এক ছাত্রীকে শ্রীলতাহানির অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত হন শিক্ষক ফজলু সরকার।
সে সময় সহকারী শিক্ষক কে,এম ফজলুল হককে অপসারণ চেয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছিলেন এলাকাবাসী। সে ঘটনায় তখর বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল । সহকারী শিক্ষক ফজলু সরকার ঘুড়কা ইউনিয়নের চক গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আসাদ সরকারের ছেলে। শিক্ষক কেএম ফজলুল হককে অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূল শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপজেলা পরিষদের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক কেএম ফজলুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক গকুল চন্দ্র জানান, এ ঘটনায় ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।