পলাশবাড়ীতে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা | Daily Chandni Bazar পলাশবাড়ীতে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৮ নভেম্বর, ২০২৪ ০১:৩১
পলাশবাড়ীতে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা
সিরাজুল ইসলাম রতন,পলাশবাড়ী, গাইবান্ধাঃ

পলাশবাড়ীতে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

দেখতে দেখতে চলে আসছে শীত কাল। আর কিছুই দিনের মাঝেই স্পর্শ করবে শীতের ঠান্ডা হিমেল হাওয়া।  শীত মানেই প্রশান্তির ঘুমের জন্য সবচেয়ে উপযোগী ঋতু।দিনে প্রচন্ড গরম, আর ভোর রাতে বইতে শুরু করে হিমেল হাওয়া। সেভাবে শীতের সকাল টা শুরু না হলে ও জলবায়ুর পরিবর্তনে অনুভূত হচ্ছে শীতের আমেজ। 
 
আর এই প্রচন্ডের শীতের মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে হিড়িক পরেছে লেপ-তোশক বানানো। 
 
বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর উপজেলা বিভিন্ন জায়গাতে ঘুড়ে দেখা যায় -পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে লেপ-তোশক বানাতে ব্যস্ত কারিগররা।
 
কারিগররা বলেন -প্রতিদিন তারা ২টা থেকে ৪টা লেপ-তোশক বানাতে পারে। আর একটি লেপ-তোশক বানানোর মজুরী হিসেবে পারিশ্রমিক পান ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা,তবে লেপ-তোশকের সাইজ অনুসারে প্রতিদিন ৬শ থেকে ১ হাজার টাকা পযর্ন্ত রোজগার হয়।সেই টাকা দিয়েই তাদা সংসার চালায় । তিনি আরো বলেন একই সাথে আমরা কয়েকজন কাজ করে থাকি। 
 
লেপ কিনতে আসা আব্দুস সামাদ জানান, আসছে প্রচন্ড শীত, এখন দিনে গরম থাকলেও রাতে একটু একটু শীত অনুভব হয়। আর আমাদের এই জেলায় শীত বেশি হয় তাই আগে ভাগে লেপ তৈরি করে নিতে আসছি।
 
এদিকে লেপ-তোশক দোকানদার ফারুক বলেন-এখনো ঠিক ভাবে শীত পড়েনি,তবে রাতে হালকা হালকা শীত অনুভব করে। তাই লোকজন শীত নিবারনের জন্য শীত বস্তের প্রতি ঝুকছেন। উপজেলা শহরে অন্য অনেক দোকান থাকা শর্তেও প্রতিদিন আমার দোকানে প্রায়ে ৭ থেকে ১০ টি লেপ-তোশক অডার পান।
 
 অন্যান্য বছরের তুলনায় দামের এবার কাপড় ও তুলার দাম বেশি। যেমন শিমুল তুলা ৪শ৫০ থেকে ৫শ টাকা প্রতিকেজি, সাদা (গার্মেন্টস তুলা) ৬০থেকে ৭০ টাকা, প্রতিকেজি কালো রঙ্গিন হলুদ লাল লীল রংগের গার্মেন্টস তুলা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা প্রতিকেজি। কার্পার্স তুলা ১শ ৩০ থেকে ১শ ৫০ টাকা প্রতিকেজি বিক্রয় করি। আবার কাপড়ের গজ বিভিন্ন কাপড়ের মান অনুসারে প্রতি গজ ৩৫ টাকা থেকে শুরু করে ৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করে থাকি। তবে প্রতি লেপ ৫শ ৫০ থেকে ১৫শ  টাকা এবং তোশক ৮ শ টাকা হতে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করি। সব মিলে ভালো মানের একটি লেপ তৈরি করতে ১৮ শ থেকে ২২শ টাকা লাগে। আবার শীত বেশি পড়লে লেপের চাহিদা তখন তুলনা মুলক ভাবে বাড়ে।