দেশের সবচেয়ে বড় সবজির মোকাম বগুড়ায় হলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আগাম শীতকালীন সবজির আমদানি বাড়লেও কমছে না দাম। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। অথচ বড় মোকাম মহাস্থান হাট থেকে প্রতিদিন ৪০০টন সবজি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। সবজির বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় সবজির মোকাম বগুড়ার মহাস্থান হাট। এই হাটে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সবজি পাইকারি বিক্রি করে থাকেন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে সবজি কিনে নিয়ে যান। প্রতিদিন ৪০০ টন সবজি পাইকারি বিক্রি হয় এই মোকামে। বিভিন্ন ধরণের সবজি আমদানি হওয়ায় সব সময় সরগম থাকে এই হাট। গত কয়েক দিনে হলে আগাম শীতকালীন সবজির আমদানি বেড়েছে। আমদানি বাড়লেও এই মোকামে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। বাজারে সবজি কিনতে এসে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।
গতকাল শুক্রবার বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত দুই সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি। বছরের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০টাকা কেজি। এছাড়া আগাম জাতের শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০টাকা, গাঁজর ১২০টাকা, টমেটো ১৬০টাকা, ফুলকপি ৭০টাকা, পাতাকপি ৬০টাকা, করলা ৭০টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০টাকা, মিষ্টি লাউ ৬০ টাকা, পোটল ৫০টাকা, ঢেঁড়স ৬০টাকা, মূলা ৪০টাকা, আদা ২০০টাকা, রসুন ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচা মরিচের দাম কমে ১২০টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
শহরের রাজাবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী জানান, বাজারে আগাম শীতকালীন সবজির আমদানি বাড়লেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। সম্প্রতি অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বহু কৃষকের সবজির আবাদ নষ্ট হয়েছে। নতুন করে আবারো ওইসব জমিতে ফসল ফলানো হয়েছে। যে কারণে দাম কমছে না। আমাদের বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে অল্প কিছু দিনের মধ্যে দাম কমতে পারে।
বাজার করতে আসা ক্রেতারা জানান, সকালে বাজার করতে এসে দেখি সব ধরণের সবজির দাম চড়া। সবজির বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
তারা বলেন, গত কয়েক দিন আগে আলুর কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা ছিল। আজ কিনতে এসে দেখি আলু ৭০ টাকা কেজি। অথচ বাজারে আলুর কোন সংকট দেখা যাচ্ছে না। এভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সংসার চালানো মুশকিল হয়ে পড়বে।