পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় জমি জবর দখলের অভিযোগ জাপা’র সাবেক মহা সচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে শনিবার সকাল ১১টার দিকে মোঃ ওসমান গনি কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে জমি জবর দখল করেছেন এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জে,এল ৩৪নম্বর লতাচাপলী মৌজার এস,এ ১২৯৩ নম্বর খতিয়ানের ৫১৮৫, বাটা ৫৪৭৬ নম্বর দাগের অংশ হইতে সাড়ে আঠাশ শতাংশ, জমি সাব-কবলা খরিদ মূলে তিনি ও তার ছোট ভাই মোঃ ছোবাহান শেখ, দোজাহান শেখ ও নুর ইসলাম শেখ মালিক নিযুক্ত থাকেন। একই দাগ খতিয়ানে তাাদের আরেক ভাই মোঃ শাহ আলম শেখ’র চার শতাংশ জমি জাতীয় পার্টির সাবেক মহা সচিব, সাবেক মন্ত্রী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ক্রয় করেন। পরে তাদের জমিও নামে মাত্র কিছু টাকা দিয়ে ক্রয় করার প্রস্তাব দেন। জাপা নেতার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই পরিবারের সদস্যদের জাপা নেতা ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি দেখায়।
তিনি আরও বলেন, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার আওয়ামী সাশনামলে জাপা সমর্থিত, আ’লীগ মনোনিত হয়ে বিনা ভোটে পটুয়াখালী-০১, সদর আসনের সাংসদ থেকে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠান। এসুযোগে তিনি সস্ত্রাসী লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে ওসমান গনিসহ তার অপর তিন ভাই’র সাড়ে তেইশ শতাংশ জমি অবৈধভাবে জবর দখলে নিয়া য়ায়। জেল থেকে বেড়িয়ে তারা আদালতে মামলা আনায়ন করেন, যাহা চলমান আছে। তাদের কাগজ পত্র থাকা সত্বেও জাপা নেতার ক্ষমতার প্রভাবে তারা কিছুই করতে পারেনী এমন অভিযোগ তাদের।
০৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর তিনিও আত্ম গোপনে রয়েছেন, তাই ওসমান গনি ও তার পরিবার প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের জমি দখল পেতে সহযোগিতা কামনা করছেন।
এ ব্যাপরে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ওই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জমি আমি ক্রয় করেছি, তবে ওসমান গনির জমি বায়না করেছি, সেখানে যদি তার আরও কোন দাবী থাকে তাহলে আমি সেটাও পূরণ করার চেষ্টা করব।