প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ০১:৩৫
বীরগঞ্জে দুই বছরেও মেরামত হয়নি সেতু, ছয় গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ
উপজেলা সংবাদদাতা, বীরগঞ্জ, দিনাজপুরঃ
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের সিংড়া জাতীয় উদ্যানে যাওয়ার একমাত্র পথে সেতু নির্মাণ না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে ৬ গ্রামের মানুষ। পাকা সেতু নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এতে চরম দুর্ভোগে এলাকার মানুষ। দুই বছর অতিবাহিত হলেও ভাঙ্গা সেতু সংস্কার হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যেই বন্যায় ভেঙ্গে গেছে সেতুটি। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও সেতুটি সংস্কার বা পুনঃ নির্মাণের ব্যবস্থা করেনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার দু'পাশের মাটি সরে ডেবে গিয়ে ভেঙে নষ্ট হয়ে রয়েছে সেতুটি। কাঙ্খিত সেতুটির পাশ দিয়ে হেঁটে আশপাশের প্রতিবেশীর বাড়ির উঠানের ভিতর দিয়েই চলাচল করছে লোকজনকে। এলাকার
কয়েকজন পথচারী বলেন, হাট বাজারে বা উপজেলা শহরে যেতে হলে প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে চলাচল করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে এদিক দিয়ে চলাচল করা যায়না। অনেক পথ ঘুরে এ পথে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের বাসিন্দারা বেশির ভাগ কৃষক। তাই তাদের কৃষি পণ্য সার, কীটনাশক, বীজ, সেচযন্ত্র ও নিত্য ব্যবহার্য নান জিনিজপত্র এ পথেই আনা নেওয়া করতে হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আমির হোসেন বলেন, সেতুটির জন্য মানুষের অনেক বেশি কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। আমি কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছি।
৮নং ভোগনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রাজিউর রহমান রাজু বলেন, প্রতিদিন প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ ঘুরে স্কুল কলেজে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ও জরুরী হাসপাতাল গামী রোগীদের কেউ। সেতুটি দ্রুত সংস্কার করা হলে এলাকাবাসীর অনেক উপকার হবে এবং সিংড়া শালবন জাতীয় উদ্যান ভ্রমন করতে সহজ হবে। সেতুটি না থাকার কারণে সিংড়া শালবন জাতীয় উদ্যানে বর্তমানে পর্যটন অনেক কমে গেছে।
সিংড়া জাতীয় উদ্যান কর্মকর্তা গয়েয়া প্রসাদ পাল জানান, গত বছর আংশিক বন্যায় জাতীয় উদ্যানে চলাচলের সেতুটি ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে যায়। সেসময় সেতুটি পুনঃ নির্মাণ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে আবেদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সেতু ভেঙে যাওয়ায় পর্যটনদের আনাগোনা অনেকে কমে গিয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী জিবরীল আহাম্মদ বলেন, আমরা সরকারের কাছে সেতুটির জন্য আবেদন করেছি। সরকারি ভাবে বরাদ্দ পেলেই সেতুটির সংস্কার বা পুনঃ নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।