বগুড়ার ধুনটে ২০২২ সালে বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকনসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের ৬১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ধুনট পৌর এলাকার পশ্চিমভরনশাহী গ্রামের বিএনপি নেতা আব্দুল খালেক মন্ডলের ছেলে যুবদল নেতা এমদাদুল হক রনি বাদী হয়ে ধুনট থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে মামলা দায়েরের পর ওই রাতেই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ৩১নং আসামী আওয়ামীলীগ কর্মী বেলাল হোসেন মেম্বারকে (৪২) গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত ওই আসামী কালেরপাড়া ইউনিয়নের আড়কাটিয়া গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে। বুধবার তাকে ধুনট থানা হাজত থেকে বগুড়ার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২ সালের ৩০ মে যুবদল নেতা এমদাদুল হক রনির ধুনট বাজারস্থ হোটেল আরাফাতের দ্বিতীয় তলায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্মরনে দোয়া মাহফিল চলছিল। এমন সময় আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আহত করে। সেই সময় আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকায় থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করতে অপারগতা স্বীকার করে। কিন্তু বর্তমানে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ায় মামলাটি করা হয়েছে বলে বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেছেন।
মামলায় ধুনট উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম খানকে প্রধান আসামী করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকনসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের ৬১ জন নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে।
এবিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, মামলা দায়েরের পর এজাহারভুক্ত একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।