পত্নীতলায় নিখোঁজের সপ্তাহের পর স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার | Daily Chandni Bazar পত্নীতলায় নিখোঁজের সপ্তাহের পর স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ০১:৪০
পত্নীতলায় নিখোঁজের সপ্তাহের পর স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
উপজেলা সংবাদদাতা, পত্নীতলা, নওগাঁঃ

পত্নীতলায় নিখোঁজের সপ্তাহের পর স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

নওগাঁর পত্নীতলায় একটি মাঠের ফসলের ধান ক্ষেতের গর্ত থেকে মোস্তাফিজুর রহমান (১৭) নামে দশম শ্রেণির স্কুল ছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
 
স্থানীয় এলাকাবাসী, থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৩ নভেম্বর দুপুরের দিকে উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়নের মশরইল গ্রামের উল্লেখিত ধান ক্ষেতের মধ্যে নিহত স্কুল ছাত্রের শরীরের বিভিন্ন অংশ  ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখতে পায় স্থানীয় কৃষকেরা। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় লাশটি দেখতে জনতার ঢল পড়ে যায়। থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ক্ষতবিক্ষত টুকরো টুকরো লাশ উদ্ধার করে। পরে পরিবারের সদস্যরা মোস্তাফিজুরের লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে।
 
নিহত মোস্তাফিজুর রহমান মশরইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের পুত্র ও স্থানীয়  মধইল বি.এল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
 
নিহত মোস্তাফিজুরের প্রতিবেশি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ১ সপ্তাহ আগে বুধবার মাগরিবের নামাজ পড়তে গ্রামের একটি মসজিদে যায়। নামাজ পড়ে সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। দীর্ঘ সময় পরেও সে বাড়িতে না আসায় তার পরিবারের লোকজন প্রথমে মসজিদে খোঁজ নেন। সেখানে গিয়ে তাকে না পাওয়ায় সকল আত্মীয় স্বজনের বাড়ি খোঁজখবর করতে থাকেন। এ পর্যন্ত তাকে কোথাও খুঁজে না পাওয়ায় তারা হতাশ হয়ে পড়েন। এমতাবস্থায় গত বুধবার দুপুরের পর স্থানীয়রা মাঠের মধ্যে কয়েকটি হাড় ও নাড়ি-ভুড়ি ছড়িয়ে থাকতে দেখে। এরপর তারা সেখানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ধান ক্ষেতের ভেতরে একটি গর্ত দেখতে পায়। সেখানের মাটি সরিয়ে দেখে একটি অর্ধগলিত মরদেহ রয়েছে। 
মশরইল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান জানান, শার্ট ও লুঙ্গি দেখে তাদের ছেলের মরদেহ বলে সনাক্ত করে পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসী।
 
পত্নীতলা থানার ওসি শাহ্ মো. এনায়েতুর রহমান জানান,  এ সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে গিয়ে অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হাড়-গোড়ের ডিএনএ টেস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী পরিচয় নিশ্চিত হতে পারবো। তবে মোস্তাফিজুর রহমান মরহেদ তা পরিবার ও স্থানীয়রা দাবি করেন।