সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলায় কিছু আঞ্চলিক সড়কের দু’পাশে গাছের ডালপালা ও লতাপাতা এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে, রাস্তার প্রায় মাঝখান পর্যন্ত ঢাকা পড়েছে। এই অবস্থার কারণে পথে চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীরা প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি, এসব অবাঞ্চিত ডালপালা দ্রুত অপসারণ করা হোক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রায়গঞ্জ উপজেলার নিমগাছী থেকে ভুঁঞাগাতী বাজার এবং শালিয়াগাড়ী থেকে ষোলমাইল পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে লাগানো আকাশমনি ও বেলজিয়াম গাছের ডালপালা এবং বিভিন্ন লতাপাতায় রাস্তা ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়ে প্রায় মাঝরাস্তায় বিস্তৃত হয়ে পড়েছে।
প্রতিদিন এই সড়কগুলো দিয়ে শত শত যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু রাস্তার এমন পরিস্থিতি থাকায় এক গাড়ি আরেকটি গাড়ি পাশ কাটাতে গেলে সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকে। বেশ কিছু জায়গায় গাছ ও ডালপালার কারণে এক পাশ থেকে অন্য পাশ দেখা যায় না, ফলে চালকদের জন্য বিপদ ডেকে আনে। এসব রাস্তার বাঁকানো অংশগুলোতে চলাচল করা আরও বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে, বিশেষ করে অভারটেকিং করতে গিয়ে গাড়ি গাছের সঙ্গে সংঘর্ষে পড়তে পারে।
এ বিষয়ে গাড়ি চালকরা জানান, রাস্তার বেশ কয়েকটি স্থানে গাছের ডালপালার কারণে এক পাশ থেকে অন্য পাশ দেখাই যায় না, যার কারণে দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। বিশেষ করে বাঁকানো মোড়গুলোতে চলাচল করা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শামীম হোসেন বলেন, “রাস্তার দু’পাশে গাছের ডালপালা ও ঝোপঝাড় ছড়িয়ে পড়ায় আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। অনেক সময় গাড়ি আসলে সরে দাঁড়ানোর জায়গা পাওয়া যায় না। এর ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।”
অটোচালক সুজন ইসলাম বলেন, “রাস্তার দু’পাশে ঝোপঝাড় থাকার কারণে আমাদের অটো চালাতে অনেক সমস্যা হয়। দিনে গরু বা ছাগল হঠাৎ সামনে চলে আসলে সেগুলোর সাথে সংঘর্ষ হওয়ার ভয় থাকে। ঝোপঝাড় পরিষ্কার না হলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা দেওয়ান শহিদুজ্জামন বলেন, “সড়কের পাশে গাছগুলোর ডালপালা অতি দ্রুত পরিষ্কার করা হবে।”
এদিকে, স্থানীয়রা আশাবাদী যে, প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সড়কগুলোর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা নেবে।