বদলগাছীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ | Daily Chandni Bazar বদলগাছীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ০২:১৩
বদলগাছীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
উপজেলা সংবাদদাতা, বদলগাছী, নওগাঁঃ

বদলগাছীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাবরিন মোস্তারীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নীতিমালা ভঙ্গ করে তার পছন্দের লোকদের ডিলার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে বঞ্চিত একাধিক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।  

অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, ৭ অক্টোবর উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ১৬ জন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারের নিয়োগ বাতিল হয়। পরে ১৪ অক্টোবর নতুন ডিলারের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়, যাতে ৬৬ জন আবেদন করেন। তবে, প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ের পর ২৭ জনের আবেদন বাতিল হয়ে ৩৯ জন বৈধতা পায়। গত ১২ নভেম্বর রাতে ১৫ জনকে ডিলার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।  

কিছু আবেদনকারী অভিযোগ করছেন, তাদের আবেদন বৈধ থাকা সত্ত্বেও ডিলার নিয়োগ হয়নি। স্থানীয়রা জানান, "উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাবরিন মোস্তারি স্বেচ্ছাচারীভাবে তার পছন্দের লোকদের নিয়োগ দিয়েছেন।"  

এ বিষয়ে, চাংলা গ্রামের এস এম এনামুল হক (চমচম) জানান, "আমি যাচাই-বাছাইয়ের পর আবেদন জমা দিয়েছিলাম, কিন্তু জানি না কেন আমাকে ডিলার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।" একই অভিযোগ করেছেন আব্দুল্লাহ ইবনে আজিজও। তিনি বলেন, "বৈধ আবেদনকারীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ডিলার নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটা করা হয়নি।"  

এদিকে, সাবরিন মোস্তারি দাবি করেছেন, "নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়মতান্ত্রিক ছিল এবং কমিটি যাকে যোগ্য মনে করেছে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।" তবে তিনি লটারির মাধ্যমে কেন ডিলার নিয়োগ হয়নি, তা ব্যাখ্যা করতে পারেননি।  

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান জানিয়েছেন, "যদি কোনো ধরনের অসঙ্গতি দেখা যায়, তবে পুনরায় উপজেলা কমিটির সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।" জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার জানিয়েছেন, "কিছু অভিযোগ এসেছে, এবং তাদের কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।"  

এদিকে, ডিলার নিয়োগ নিয়ে এলাকায় বৈষম্য এবং অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠার পর, বঞ্চিত আবেদনকারীরা দাবি করছেন, এই প্রক্রিয়ার পুনঃমূল্যায়ন ও স্বচ্ছতার প্রয়োজন।