নাটোরে ফিল্মি কায়দায় দুই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ১৮ ঘন্টা পর ৪ ডাকাত গ্রেফতার | Daily Chandni Bazar নাটোরে ফিল্মি কায়দায় দুই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ১৮ ঘন্টা পর ৪ ডাকাত গ্রেফতার | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ০২:৫৩
নাটোরে ফিল্মি কায়দায় দুই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ১৮ ঘন্টা পর ৪ ডাকাত গ্রেফতার
নাটোর জেলা সংবাদদাতাঃ

নাটোরে ফিল্মি কায়দায় দুই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ১৮ ঘন্টা পর ৪ ডাকাত গ্রেফতার

নাটোরে মুখোশ পড়ে অস্ত্রের মুখে ২ টি বাড়ীতে ডাকাতি ও স্বর্ণালংকার লুন্ঠনের ঘটনায় ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একইসাথে নগদ টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 
গ্রেফতারকৃত ডাকাত সদস্যরা হলেল, নাটোর শহরের আলাইপুর এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মোঃ রনি(৩৬), তেবারিয়া এলাকার মৃত হারুন আলীর ছেলে ছেলে মোঃ সবুজ আলী(২৭), সিংড়া উপজেলার বিলদহর দড়িমহিষমারি এলাকার মোঃ আতারুলের ছেলে মোঃ এনামুল হক (২৮) এবং নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার দাঁড়িয়াগাথি এলাকার মৃত নিরেন চন্দ্রের ছেলে শ্রী মিন্টু কুমার (২৮)। 
পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন জানান, মঙ্গলবার ভোর রাতে নাটোর শহরের মীড়পাড়া এলাকায় জেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালের পাশে উত্তম কুমার সাহার বাড়িতে অজ্ঞাত ৫/৬ জন ব্যক্তি মুখোশ পড়ে হাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে। এসময় বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ি থেকে ২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১১ হাজার টাকা লুন্ঠন করে নিয়ে যায়। 
একইসময় শহরের পালপাড়া এলাকার স্বপন কুমার কুন্ডুর বাড়িতে একই কায়দায় প্রবেশ করে বাড়ি থেকে ৬ ভরি আট আনা ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালংকার, নগদ ৭০ হাজার টাকা একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন লুন্ঠন করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। এ ঘটনার পর বুধবার বাড়ির মালিক উত্তম কুমার সাহা ও স্বপন কুমার কুন্ডু নাটোর থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেন। পুলিশ সুপার আরও জানান, এঘটনায় পুলিশ অফিসার ফোর্সের সমন্বয়ে একটি চৌকস টিম গঠন করা হয়। পরে বুধবার দিনগত রাতে ঘটনার প্রায় ১৮ ঘন্টার মাথায় নওগাঁ জেলার বিভিন্ন জায়গায় এ ঘটনার সাথে জড়িত মূল পরিকল্পনাকারীসহ আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় ডাকাত দলের সদস্যদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, হাসুয়া ও ছুরি উদ্ধার করা হয়। এই ডাকাত দলের সদস্যরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘবদ্ধভাবে অভিনব কৌশলে ডকাতির মাধ্যমে মালামাল লুন্ঠন করতো।