প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ০০:৩৮
রায়গঞ্জের বিভিন্ন রাস্তায় মরা গাছের আতংকে পথচারী
উপজেলা সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার দু' পাশে লাগানো অধিকাংশ গাছ মরে শুকিয়ে গেছে এবং ডালপালা ভেঙ্গে পড়ে আহত ও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে পথচারী সহ যানবাহন চালকরা। এদিকে এক শ্রেণীর মানুষ সেসকল গাছের ডাল পালা সহ পুরো গাছ কেটে নিচ্ছে। এতে করে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার নিমগাছী হতে ভুঁঞাগাতি ও সলঙ্গা, শালিয়াগাড়ী হতে ষোলমাঈল এবং পাঙ্গাসী হতে ধানগড়া ইউএনও অফিসের সামনের (পুড়াতন বগুড়া রোড ) আঞ্চলিক সড়কের দু'পাশে লাগানো শিশু, রেন্ট্রি কড়ই, আকাশমনি সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ দীর্ঘদিন যাবৎ মরে শুকিয়ে গেছে। সামান্য বাতাশ হলেই এসকল গাছের ডালপালা ভেঙ্গে পড়ে পথচারী সহ যানবাহনের ক্ষতি হচ্ছে। সরকারি নিয়মনিতির জটিলতার কারণে এসকল গাছ অপসারন করা সম্ভব হচ্ছে না। আর সে কারনেই মরে থাকা গাছগুলো ভেঙ্গে পড়লেও কেটে ফেলার অনুমতি মিলছে না। এতে করে রাস্তার উভয় পাশের বাজার স্কুল কলেজ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থাকায় প্রতিদিন এলাকাদিয়ে কমলমতি শিক্ষার্থীসহ সব ধরনের মানুষ ঝুঁকিনিয়ে এসকল রাস্তা দিয়ে চলাচল করে।
এ ছারাও শুকনো গাছগুলোর নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের তারে ডালপালা ভেঙ্গে পড়ে এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। সেই সংগে এক শ্রেণীর লোকেরা দিন রাত্রি এসকল মরা গাছের বাকল, ডালপালা সহ পুরো গাছ কেটে নিয়ে জাচ্ছে। জার ফলে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে ।
ধানগড়া পৌর এলাকার ব্যাবসায়ী নুরুজ্জামান জানান, অধিকাংশ মরা গাছের নিচে দোকান পাঠ থাকায় আমরা প্রতিনিয়ত মরা গাছগুলো ভেঙ্গে পড়ার আতংকে থাকি। ইতিমধ্যে আমরা বিষয়টা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে একাধীকবার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, উল্লেখিত এই রাস্তাদিয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সহ শত শত মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। রাস্তার দু'পাশে মরা গাছ গুলো মাঝে মাঝে ভেঙ্গে পড়ে । ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন ভাঙ্গা গাছের কবলে পড়ে মারাত্বক আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। তাই বড় ধরনের দুর্ঘটনার পুর্বেই
অতি দ্রুত রাস্তার মরে যাওয়া শুকনো গাছ গুলো অপসারন করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, আমি বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের সংগে কথা বলে রাস্তা থেকে মরে যাওয়া শুকনো ও ঝুঁকিপুর্ণ গাছগুলো অতি দ্রুত অপসারণের চেষ্টা করবো।