লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ব্যাটারি চুরির অভিযোগে অটো রিকশা চালককে রশি দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে এবং বেধরক মারপিটে এক অটো চালকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ওই চালকের মরদেহ দ্রুত দাফন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে পাটগ্রাম পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের মির্জারকোর্ট গ্রামের নিজ বাড়িতে অটো চালক হাসানুর রহমান (৩০) মারা যান। স্থানীয় সংবাদদাতা মোস্তফিজুর রহমানের পাঠানো প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
স্থানীয় ও নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, গত সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে পাটগ্রাম পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইউনুস আলীর ঠাকুরবাড়ি এলাকায় তার বাড়ির আইপিএসের ব্যাটারি চুরি করার অভিযোগে হাসানুরকে আটক করা হয়। পরে তাকে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ইউনুস আলীর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মারপিট করা হয়। এই সময় হাসানুরের স্ত্রী বিলকিস বেগম (২৫) স্বামীকে ছাড়িয়ে নিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।
হাসানুরকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পরবর্তী সময়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পাঁচদিন পর (১৬ নভেম্বর) হাসানুর মারা যান।
অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে নিহতের মরদেহ রাতেই তড়িঘড়ি করে দাফন করা হয়। নিহত হাসানুর পাটগ্রাম পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মির্জারকোর্ট এলাকার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে এবং পেশায় অটো চালক ছিলেন।
নিহতের স্বজনরা দাবি করেছেন, চুরির অভিযোগে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ। তারা অভিযুক্তদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুরুজ্জামান এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এই ঘটনার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেন।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান বলেন, "অটো রিকশার ব্যাটারি চুরির বিষয়টি আমাদের জানানো হয়েছে। চালকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত নিহতের পরিবার পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"