আদমদীঘিতে সারের চড়া দামে দিশেহারা কৃষক, মিলছে না চাহিদামত | Daily Chandni Bazar আদমদীঘিতে সারের চড়া দামে দিশেহারা কৃষক, মিলছে না চাহিদামত | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর, ২০২৪ ০২:৫০
আদমদীঘিতে সারের চড়া দামে দিশেহারা কৃষক, মিলছে না চাহিদামত
উপজেলা সংবাদদাতা, আদমদীঘি, বগুড়াঃ

আদমদীঘিতে সারের চড়া দামে দিশেহারা কৃষক, মিলছে না চাহিদামত

ডিএপি এবং এমওপি সারের চড়া দামে দিশেহারা হয়ে পড়েছে উপজেলার কৃষক। আসন্ন আলু ও সরিষা মৌসুমকে সামনে রেখে সার বিশেষ করে ডিএপি সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে বেসরকারি আমদানীকারক ব্যবসায়ী এবং বিএডিসি ও বিসিআইসি’র ডিলাররা। ৫০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা ডিএপি সার বিক্রি করা হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে সাড়ে তিনশ’ থেকে চার টাকা বেশী দামে। তাও মিলছে না কৃষক ও রিটেইলারদের চাহিদামত। জানা গেছে, উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের জন্য বিসিআইসি এবং বিএডিসির ডিলার হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নসরতপুরের মেসার্স রুমা কৃষি ভান্ডার নামক সার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে। কিন্তু গত বুধবার সরেজমিন ওই ইউনিয়নের কোন পয়েন্টে ওই ডিলার দোকান ও গুদামের হদিস মেলেনি। সরেজমিন কথা হয় ওই ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চারজন রিটেইলার বিক্রেতার সাথে। তারা তাদের ইউনিয়নের ডিলার কে সেটাও জানে না বলে দাবী করেন। তারা বলেন আমরা আদমদীঘি উপজেলা সদরের বড় ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমের নিকট থেকে পরিবহনসহ প্রতি বস্তা ডিএপি সার দেড় হাজার টাকা দামে কিনে ২০ টাকা লাভে কৃষকদের নিকট বিক্রি করছি। সরকার নির্ধারিত এক হাজার ৫০ টাকার ডিএপি সার সরবরাহ করে না ডিলার। এবিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে মেসার্স রুমা কৃষি ভান্ডার নামক ডিলারের প্রতিনিধি শাহজাহান আলী ওই ইউনিয়নের কোন পয়েন্টে দোকান ও গুদাম না থাকার কথা স্বীকার করেন। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি চড়া দামে সার বেচা-কেনার অভিযোগ অস্বিকার করেন। তবে ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নে নিয়োগ করা ডিলারের দোকান ও গুদাম না থাকা বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, উপজেলা সদরের মেসার্স খন্দকার ট্রেডার্স নামক বড় রিটেইলার আব্দুর রহিম ও রওশন আলীর মাধ্যমে ওই ইউনিয়নের ছোট রিটেইলারদের মাঝে সরকারি বরাদ্দের সার প্রাপ্তি সাপেক্ষে সরবরাহ করা হয়। বিষয়টি ডিলারী শর্ত লংঘন কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।