রাজশাহীর বাঘায় আনিসুর রহমান (৪২) নামের এক কৃষককে গলা কেটে হ’ত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলার মনিগ্রাম গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বজলুর রহমানের আমবাগানে তার লাশ পাওয়া যায়।
নিহত আনিসুর রহমান উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের তুলসীপুর গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে। আনিসুরের পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, সে একজন সহজ সরল মানুষ ছিল। নিহতের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। বিবাহিত বড় মেয়ে আল্পনা খাতুন ডিভোর্সের কারণে বর্তমানে তার বাড়িতে আছে। মেজ মেয়ে মদিনা খাতুনের বয়স সাত বছর ছেলে সোহাগ হোসেনের বয়স এক বছর। সে কোন নেশায় আসক্ত ছিল না বলে পরিবার থেকে দাবি করা হয়।
নিহত আনিসুরের স্ত্রী পারভীন খাতুন জানান, শুক্রবার বিকালে মনিগ্রাম হাটে যায় আনিসুর। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। বাড়িতে না ফেরা দেখে রাতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নেয়া হয়। শনিবার সকালে লোক মারফত জানতে পারি বজলু মাষ্টারের আমবাগানে তার গলা কাটা লাশ পড়ে আছে।
নিহতের চাচাতো ভাই হাফিজুর রহমান জানান, আনিসুরের ভাইরা রায়হান আলী শুক্রবার বিকেলে মনিগ্রাম হাটে ছাগল বিক্রি করে। সেখান থেকে পারিবারিক খরচের জন্য আনিসুরকে পাঁচ হাজার টাকা দেয়। ওই টাকা নিয়ে আনিসুর সন্ধ্যার পর হাট থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এই টাকার জন্য দুর্বৃত্তরা তাকে খুন করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ যে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিল সেই টাকা পাওয়া যায়নি।
বাঘা থানার ওসি আবু সিদ্দিক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের প্রাথমিক সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। এর পর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, কে বা কারা এবং কি কারণে আনিসুরকে হত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। বাঘা-চারঘাট সার্কেলের সিনিয়র এএসপি প্রণব কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।