বগুড়ার গাবতলী উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত আরিফুর রহমান (৩৮) নামের এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষি অফিস থেকে আলু বীজ দেয়ার নামে বিভিন্ন কৃষকদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ওই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান সরকারী চাকুরী দেয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাত করেছেন বলেও গাবতলী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ রয়েছে।
একাধিকসূত্রে জানা গেছে, গাবতলী উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমান মাষ্টারের ছেলে কৃষক মমিনুর রহমান দীপুর কাছ থেকে বীজ আলু দেয়ার নামে গত কয়েকদিন আগে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান ১৮হাজার টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু পরে বীজ না দিয়ে নানা টালবাহানা করে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কৃষক মমিনুর রহমান দীপু গত ২০ নভেম্বর গাবতলী উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অনুরূপ কায়দায় ওই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বীজ আলু দেয়ার নামে সোনাতলা উপজেলার গনিয়াকান্দী গ্রামের মৃত আ: হামিদের ছেলে কৃষক শাহিদুল ইসলামের কাছ থেকেও ১৩হাজার টাকা আত্মসাত করে। এছাড়াও সরকারী চাকুরী দেয়ার নামে গাবতলীর দড়ি সোনাকানিয়া গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে ছামিউলের কাছ থেকে তার ছোটভাই আরিফ আহমেদকে কৃষি বিভাগে সরকারী চাকুরী দেয়ার নাম করে গত ২বছর আগে ৫০হাজার টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু চাকুরী না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করলে ভুক্তভোগী ছামিউল ইসলাম উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে গাবতলী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে অভিযোগকারীদের সাথে অনেকটাই মিমাংসা করে ফেলেছেন বলে দাবী করে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমানের। এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানার এসআই শামীম এবং গাবতলী উপজেলা কৃষি অফিসার মেহেদী হাসান বলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমানের বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করা হয়েছে। বাদীদের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকারও করেছেন। কিন্তু অর্থ ফেরত দেয়ার বারবার অঙ্গীকার করেও শেষ পর্যন্ত ফেরত না দেয়ায় কোন সুরাহা মিলেনি।