'প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এখনো আওয়ামী দোসররা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত'- রেজাউল কবীর পল | Daily Chandni Bazar 'প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এখনো আওয়ামী দোসররা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত'- রেজাউল কবীর পল | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ২২:৩০
'প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এখনো আওয়ামী দোসররা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত'- রেজাউল কবীর পল
সঞ্জু রায়:

'প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এখনো আওয়ামী
দোসররা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত'- রেজাউল কবীর পল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল কবীর পল বলেছেন, জাতীয়তাবাদী দল হত্যার রাজনীতি বিশ্বাস করেনা। মানবিক সাম্য সমাজ বিনির্মাণের জন্যে জাতীয়তাবাদী দল কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের কোন আচরণে যেন মানুষ কষ্ট না পায় সেই লক্ষ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কড়াবার্তা দিয়েছেন কারণ আমরা বিগত স্বৈরাচার সরকারের মতো কোন ভুল করতে চাইনা। তিনি বলেন, বিএনপি বা জাতীয়তাবাদী দলের স্তম্ভ হলো আমাদের দলের তৃণমূলের কর্মীরা। তাই কর্মীদের সুশৃঙ্খল রাজনীতির উপরেই নির্ভর করছে বিএনপির ভবিষ্যৎ। আর যেকোন ভুলের জবাবদিহিতা দিতে শুধু কর্মী না নেতারাও বাধ্য। বগুড়ায় সোমবার বিকেলে শহীদ টিটু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে দিক নির্দেশনামূলক জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ কর্মীসভায় কেন্দ্রীয় যুবদলের অন্যতম এই নেতা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সভায় পল আরো বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদ এবং এখনো চিকিৎসাধীন আহত হাজার হাজার মানুষের রক্ত এখনো শুকায়নি। আন্দোলনে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬'শ জন মানুষ শহীদ হয়েছেন যাদের মাঝে রয়েছে ছাত্র, যুবক, শ্রমিকসহ নানা পেশার মানুষ। নিহতদের মাঝে বিএনপির নেতাকর্মী রয়েছে ৪৪২ জন। এমন শোকাবহ পরিস্থিতিতে তাদের নেতা তারেক রহমান তার জন্মদিন পালন না করতে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, তারেক রহমান পরিবর্তিত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন যেখানে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। বিগত ১৭ বছরে হাজারো জুলুম, নির্যাতন, হামলা, মামলা সহ্য করেও একমাত্র জাতীয়তাবাদী দল টিকে আছে যা পৃথিবীতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার তিলে তিলে বিনা চিকিৎসায় মারার পরিকল্পনা করেছিলো তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে! আল্লাহ'র অশেষ রহমতে আর দেশের কোটি মানুষের ভালবাসায় আমাদের আপোষহীন নেত্রী নিজ চোখে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন দেখতে পেরেছেন। পল বলেন, হাসিনা ও তার নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা আজও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে। তারা কিন্তু বসে নেই লিপ্ত হয়েছেন তারা চক্রান্তে। আজ আওয়ামী দোসররা রিক্সালীগ, কিস্তিলীগ, সাধারণ ছাত্রদের বেশে ফিরে আসার চেষ্টা করছে যাদের শক্তহাতে প্রতিহত করতে হবে। শুধু তাই নয় প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বসে থাকা আওয়ামী দোসররা যারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। এছাড়াও সভায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। অনেক রক্ত, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়েছে এ দেশের ছাত্রজনতা। ফ্যাসিবাদ মুক্ত দেশে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে শহীদ জিয়ার সৈনিকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক দেশ গড়তে কাজ করার পাশাপাশি পতিত স্বৈরাচার যাতে ফেরত না আসতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এছাড়াও আওয়ামী লীগের দোসররা যাতে বিএনপির কোনো অঙ্গসংগঠনে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আর সভায় বগুড়ার সকল ছাত্র নেতাদের উদ্দেশ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছাত্ররাজনীতি ধ্বংস করে দিয়েছিল ছাত্রলীগ। ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে কাজ করেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রদল সামনে তাদের এই রাজনীতির ধারা পরিবর্তন করবে। রাকিব বলেন, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগ, যুবলীগের বিরুদ্ধে আমাদের ছাত্রদল রাজ পথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন। আগামী দিনে ছাত্রদল রাজপথে থেকে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাবে। যৌথ কর্মীসভার আরো বক্তব্য রাখেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোখতার হোসাইন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল আকতার, বগুড়া জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুল, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম শুভ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান, সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ, শহর যুবদলের সভাপতি আহসান হাবীব মমি, সাধারণ সম্পাদক আদিল শাহরিয়ার গোর্কী, শহর ছাত্রদলের সভাপতি এস এম রাঙ্গা, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান রিমন প্রমুখ। উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই যৌথ কর্মীসভায় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের তৃণমূলের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেয়।