প্রকাশিত : ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ০০:৫১
পলাশবাড়ীতে মাছ কেটে সংসার চালান আলিফ
সিরাজুল ইসলাম রতন, পলাশবাড়ী,গাইবান্ধাঃ
মাছ কেটে সংসার চালান আলিফ ‘মাছ কাটছি প্রায় ৪ বছর। ছোট থেকে এই পেশায় থাকায় এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। এটাই আমার রুজীর পথ। দিনে যে ৫-ছয়শ টাকা দেয় মহাজন,সেটা দিয়েই সংসার চালাই।’
কথাগুলো বলছিলেন ২৩ নভেম্বর শনিবার দুপুরে পলাশবাড়ী কালিবাড়ী বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আলিফ (১৮ )। চার বছর থেকে মাছ কেটে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।
সবচেয়ে বড় ও পরিচিত মাছের বাজার পলাশবাড়ীর কালিবাড়ী বাজার। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাছ বেচাকেনা করা ব্যক্তিদের যাতায়াতে ব্যস্ত থাকে বাজারটি। জীবিকার তাগিদে আলিফের মতো অনেকেরই ভরসা মাছ কাটা। আলিফ ছাড়াও অনেকেই দৈনিক মাছ কাটার কাজ করেন। এটিই তাদের পেশা। মাছ কাটার আয় দিয়ে চলে তাদের সংসার।
কালিবাড়ী বাজারের মাছের বাজারে গেলে দেখা মিলবে এরকম ৫-৬ জন দিনমজুরের। প্রতিটি মাছের দোকানে যেসব মাছ বিক্রি হয় সবগুলো কেটে পিস করে দেন তারা। বিনিময়ে মজুরি হিসেবে মহাজন টাকা দেন।
কথা বলে জানা যায়,ছোটবেলায় বাবার মৃত্যুর পর থেকে সংসার নিজের কাঁধে এক ভাই- এক বোন, মাসহ আলিফের পরিবারের মোট ৪জন সদস্য।
৪ বছর ধরে মাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আগে হাতেগোনা দু-একজন মাছ কিনে কেটে নিতো। এখন ছোট হোক বড় হোক সব মাছ কেটে দিতে হয়। মাছ কাটা এটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। মাছ কাটতে আমার অনেক ভালো লাগে। দিনে ৪০-৫০ কেজি মাছ কাটলে আমার কোনো সমস্যা হবে না বরং ভালোই লাগবে।’
আলিফের কাছ থেকে মাছ কেটে নিচ্ছিলেন ক্রেতা মাসুদ। তিনি বলেন,‘আগে আমরা শুধু মাছ কিনে নিয়ে যেতাম। বাসায় গিয়ে কাটা-ছেঁড়া করতাম। এখন তারা কেটে দেওয়াতে আমাদের সুবিধা হয়। বাসায় গিয়ে আর কাটতে হয় না।