যমুনা রেলসেতু নির্মাণ ও চট্টগ্রাম পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পে জাইকার ঋণচুক্তি স্বাক্ষর | Daily Chandni Bazar যমুনা রেলসেতু নির্মাণ ও চট্টগ্রাম পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পে জাইকার ঋণচুক্তি স্বাক্ষর | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:২৯
যমুনা রেলসেতু নির্মাণ ও চট্টগ্রাম পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পে জাইকার ঋণচুক্তি স্বাক্ষর
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

যমুনা রেলসেতু নির্মাণ ও চট্টগ্রাম পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পে জাইকার ঋণচুক্তি স্বাক্ষর

-ছবি বিজ্ঞপ্তির

বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। যমুনা রেলসেতু নির্মাণ (তৃতীয়) এবং চট্টগ্রাম পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জাপানের সরকারি উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) তহবিল থেকে মোট ৩৯,৯০২ মিলিয়ন ইয়েন (৩,১৪৭ কোটি টাকা সমমূল্য) ঋণ প্রদান করা হবে। ঋণচুক্তি দুটি ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ রাজধানীর আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নিজ নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।

এই ঋণচুক্তির আওতায়, যমুনা রেলসেতু নির্মাণ প্রকল্পে (তৃতীয়) ৩৮,২০৬ মিলিয়ন ইয়েন এবং চট্টগ্রাম পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পে (প্রকৌশল সেবা) ১,৬৯৬ মিলিয়ন ইয়েন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের তৃতীয় ধাপ হিসেবে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যমুনা নদীর ওপর নির্মিত এই দৃষ্টিনন্দন রেলসেতুটি ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে এবং ২০২৫ সালের শুরুর দিকে এর কার্যক্রম শুরু হবে। এটি পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে রেল যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে। প্রকল্পে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব বজায় রাখতে এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমাতে সহায়ক হবে। ঋণটি ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য, যার মধ্যে নির্মাণ অংশের জন্য বার্ষিক সুদহার ১.৭% এবং পরামর্শ সেবার জন্য ০.৪০% নির্ধারণ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৬টি ক্যাচমেন্ট এলাকা থেকে দুটি প্রধান এলাকা, কালুরঘাট ও পূর্ব বাকলিয়া, উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়া হবে। এই প্রকল্পটি চট্টগ্রামের পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক স্থায়িত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বর্জ্য পানি শোধন করা হবে, যাতে নাইট্রোজেন ও ফসফরাস অপসারণ করা যায় এবং পানির দূষণ রোধ হয়। পরামর্শ সেবার জন্য বার্ষিক সুদহার ০.২০% নির্ধারণ করা হয়েছে, এবং ঋণ পরিশোধের সময়কাল ৩০ বছর।

অনুষ্ঠানে জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, “এই দুটি প্রকল্পের লক্ষ্য একটিই—বাংলাদেশের জনগণকে সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করা। আমরা আশা করি, জাইকার অংশগ্রহণ বাংলাদেশের সরকারের কঠোর পরিশ্রমী কর্মকর্তাদের জন্য সহায়ক হবে, যারা একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়তে নিরলস কাজ করছেন।”

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী বলেন, “জাপান সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে প্রদান করা অব্যাহত সহায়তার জন্য আমরা গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ।” - খবর বিজ্ঞপ্তির