রাণীনগরে মাজার-ঈদগাঁর প্রায় ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ | Daily Chandni Bazar রাণীনগরে মাজার-ঈদগাঁর প্রায় ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:৩৩
রাণীনগরে মাজার-ঈদগাঁর প্রায় ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
উপজেলা সংবাদদাতা, রাণীনগর, নওগাঁঃ

রাণীনগরে মাজার-ঈদগাঁর প্রায় ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভেটুরিয়া ঈদগাঁ ও কাঙ্গালী পীরের মাজারের সম্পত্তি জবর দখল করে প্রায় ৯০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ ভেটুরিয়া গ্রামের হেতু প্রামানিকের ওয়ারিশ ছেলে-নাতি ও চকারপুকুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ভেটুরিয়া ঈদগাঁ কমিটির বর্তমান সভাপতি দাবিদার আব্দুস সামাদ সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুস সামাদ বলেন, ভেটুরিয়া মৌজায় কয়েকটি দাগে প্রায় ২০ বিঘার অধিক সম্পত্তি কাঙ্গালী পীর তৎকালীন সময়ে মসলিম সম্প্রদায় তথা জনসাধারণের স্বার্থে সিএস খতিয়ানে ভেটুরিয়া গ্রামের হেতু প্রামানিককে জিম্মাদার নিয়োগ করেন। এরপর থেকে সম্পত্তিগুলো কাঙ্গালী পীরের মাজার এবং একইস্থানে অবস্থিত ভেটুরিয়া ঈদগাঁর উন্নয়নে ব্যয় করে আসছিল। এরই মধ্যে হেতু প্রামানিক মারা গেলে তার ছেলে-নাতিরা নিজস্ব সম্পত্তি দাবি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোগ দখল করতে থাকেন। একপর্যায়ে মসলিম সম্প্রদায়ের পক্ষে ভেটুরিয়া গ্রামের আব্দুল করিম গত ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রæয়ারি ডিগ্রি পান।

আব্দুস সামাদ দাবি করেন- এই দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ মামলা চলাকালে হেতু প্রামানিকের ওয়ারিশবর্গ সেকেন্দার ও তার ভাই ছেলেরা ভোগ দখল করে পুকুর, জমি, ভিটা এবং উক্ত জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পুরোনো গাছ বিক্রি করে প্রায় ৫১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়া আদালতের রায়ের পর একই এলাকার চকারপুকুর গ্রামের আব্দুল হাকিম রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত পুকুরসহ সম্পত্তিগুলো জবর দখল করে এবং পুকুরপারের একটি শতবর্ষী তেতুল গাছ বিক্রিসহ গত ৬ বছরে প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, এসব বিষয় নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দুর্নীতিকারীদের শাস্তি প্রদান, আত্মসাৎকৃত অর্থ আদায় এবং জিম্মাদারের পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনের সময় স্থানীয় ওসমান আলী, আজিজার রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও শাহাজাহান আলী উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সেকেন্দার আলীর ছেলে দুলাল হোসেন বলেন, সম্পত্তিগুলো আমার দাদার নামে রেকর্ড আছে। সেই অনুযায়ী আমরা ভোগ দখল করেছি। পরে জনসাধারণের পক্ষে প্রতিপক্ষের লোকজন মামলা দায়ের করে ডিগ্রী পায়। আমরা ডিগ্রীর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেছি। বর্তমানে মামলা চলমান রয়েছে। এখানে তারা টাকা আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

জানতে চাইলে চকারপুকুর গ্রামের আব্দুল হাকিম বলেন, ভেটুরিয়া ঈদগাঁ এবং মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। ২০১৯ সালে ডিগ্রি পাবার পর সেকেন্দার ও তার ওয়ারিশরা ডিগ্রির বিরুদ্ধে হাইকোটে আপিল করেছে। ২০১৯ সাল থেকে সেই মামলা এখনো পরিচালনা করছি এবং ঈদগাঁ এবং মাজার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। এসব করতে গিয়ে আমার পকেট থেকেই প্রায় এক লক্ষ ১৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়ে গেছে। আমি কোন টাকা আত্মসাৎ করিনি। সংবাদ সম্মেলনে সব মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।