তাড়াশে এলজিইডি’র কালভার্ট ভাঙ্গলেন নির্মাণাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান | Daily Chandni Bazar তাড়াশে এলজিইডি’র কালভার্ট ভাঙ্গলেন নির্মাণাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর, ২০২৪ ২৩:৪৯
তাড়াশে এলজিইডি’র কালভার্ট ভাঙ্গলেন নির্মাণাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান
তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ, সংবাদদাতা:

তাড়াশে এলজিইডি’র কালভার্ট ভাঙ্গলেন  নির্মাণাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) নির্মাণাধীন একটি সড়ক থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি না নিয়েই একটি বক্স কালভার্ট ভাঙ্গলেন নির্মাণাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে এলে তারা প্রতিবাদও জানিয়েছেন এলাকাবাসী বলছেন, ওই এলাকার পানি প্রবাহের একমাত্র পথ বন্ধ হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে কৃষকদের ফসলি জমির ফসলের ক্ষতি হবে। উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস সূত্র থেকে জানা যায়, পাবনা ও বগুড়া জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন-২ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ওয়াশিন-কৃষ্ণদিঘী হাট সড়ক ভায়া ধনকুন্টি, মাদারজানি পর্যন্ত ৬ দশমিক ৯১০ কিলোমিটার  সড়ক পাকা করণের জন্য ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ কাজের পাঁচ কোটি ৩৩ লাখ চার ৪ হাজার ৮২৭ টাকা ৪০ পয়সা টাকার চুক্তিমুলে যৌথভাবে কার্যাদেশ পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ওশন এন্টার প্রাইজ ও সোহান এন্টার প্রাইজ নামের যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সে অনুযায়ী কার্যাদেশ পাওয়ার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই সড়কে বেড তৈরি করা শুরু করেন। আর ওই সড়কের মাদারজানি গ্রামে ২৫ বছর আগে বর্ষা মৌসুমে এলাকার কৃষকদের ফসলি জমির পানি প্রবাহের জন্য নির্মিত হয় বক্স কালভার্ট। এলজিইডি’র অনুমতি না নিয়েই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কালভার্টটি ভেঙ্গে  মালামাল বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানান। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. সেলিম হোসেন বলেন, বক্স কালভার্ট ভাঙ্গাই  ছিল। আমরা সড়কে কাজ করার সময় অবশিষ্ট কিছু ইট ছিল তা সরিয়ে রেখেছিলাম। যা লোকজন নিয়ে যেতে পারে। আমরা মালামাল বিক্রি করিনি। এলাকার কৃষক লেবু, বাবু, মাহমুদ ও মাসুদ সহ , অনেকে জানান, ওই স্থানে কৃষকদের সুবিধার্থে ২৫ বছর পূর্বে বর্ষা মৌসুমে এলাকার কৃষকদের ফসলি জমির পানি প্রবাহে জন্য  বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছিল। যা অপসারণ করায় বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার পানি প্রবাহে পথ বন্ধ হওয়ায় কৃষকদের ফসলের ক্ষতি হবে। এ প্রসঙ্গে এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অনুমতি না নিয়ে এভাবে সরকারি সম্পদ বিনষ্ট করার অধিকার কারও নেই। তিনি আরও বলেন এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিয়ে ইতিমধ্যেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর   জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে।