দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রায় ৫০টিরও বেশি অতি পুরাতন গাছের কারণে সরকারি ভবনগুলো মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে ঝড়ের সময় এসব গাছ ভবনের উপর হেলে পড়ে, ফলে ভবনের দেয়াল ভেঙে পড়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
গাছের ডালপালা ভবনের ছাদে পড়ে থাকায় ভবনগুলো ক্রমাগত শ্যাওলা জমে শ্যাতশ্যে অবস্থায় পরিণত হচ্ছে, যা ভবনের আয়ুষ্কাল হ্রাস করছে। এছাড়া গাছের শিকড় ভবনের নিচে চলে যাওয়ায় ভবনগুলোতে ফাটল ধরার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে গাছের শিকড়ের কারণে পরিষদের পানিনিষ্কাশন ড্রেন নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ড্রেন পুনর্নির্মাণ করাও সম্ভব হচ্ছে না।
ক্ষতির আশঙ্কা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
বিআরডিবি অফিস এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের পেছনে ড্রেন না থাকায় বর্ষাকালে হাঁটুসমান পানি জমে। এতে ভবনের নিচের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল কামাহ তমাল বলেন, “সরকারি গাছ কাটা আমার এখতিয়ারভুক্ত নয়। তবে যেহেতু ভবনগুলোর ক্ষতি হচ্ছে, বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করব। গাছগুলো কাটা অত্যন্ত প্রয়োজন।” তিনি আরও বলেন, গাছগুলো কাটার পর ঔষধি, ফলজ ও বনজ গাছ লাগানো হলে উপজেলা পরিষদ চত্বরের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পাবে।
স্থানীয়দের মতামত
স্থানীয়রা মনে করেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হলে ভবনগুলোকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি নতুন গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিলে পরিবেশগত ভারসাম্যও বজায় থাকবে।
সরকারি সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর হলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রক্ষা এবং পরিষদ চত্বরের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মপরিবেশও উন্নত হবে বলে সবার প্রত্যাশা।