সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আবারও বেড়েছে চোরের উৎপাত গত তিন দিনের ব্যবধানে প্রায় সারে পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের ছয়টি গরুসহ একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। গত কয়েক দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অনন্ত পাঁচটি চুরি সংঘটিত হয়েছে। তবে এসব চুরি যাওয়া গরু,মোটরসাইকেল, বৈদ্যুতিক ট্রন্সফমার ও শ্যালোমেশিন উদ্ধার এবং চুরির সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। জানা গেছে, গত রবিবার বিকেলে তাড়াশ পৌর এলাকার আজিমনগর থেকে আজিমনগর কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অফিস সহায়ক সোলায়মান হোসেনের মোটরসাইকেল চোরে নিয়ে যায়। শুক্রবার রাতে উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ওয়াশিন গ্রামের কৃষক তুহিন হোসেনের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে প্রায় ৪ লাখ টাকা মূল্যের চারটি ষাঁড় গরু চুরি হয়। এবং গত সোমবার রাতে একই ইউনিয়নের শুভার গ্রামের আব্দুল হালিমের গোয়াল ঘরের গ্রিল কেটে প্রায় দের লাখ টাকা মূল্যের দুইটি গাভি গরু চুরি হয়। পাশাপাশি গত নভেম্বর মাসে উপজেলার তালম ইউনিয়নের চককলামুলা গ্রামের কৃষক মো. শাহিন হোসেনের, কুন্দাশন গ্রামের সোরহাব হোসেনের, গাবরগাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নানের, রোকনপুর গ্রামের শাহজাহান আলীর চারটি শ্যালোমেশিন চুরি করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম, রোকনপুরের শাহজাহান আলী, পেঙ্গুয়ারীর গোলাম সাকলাইনের ও মালশিন গ্রামের কৃষক আবু বক্কারের দুটিসহ মোট পাঁচটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। যার বাজারমূল্যও প্রায় আড়াই লাখ টাকা। এ ছাড়া এলাকায় অহরহ মোবাইল ফোন চুরির ঘটনাও ঘটছে। অবশ্য, এসব চুরি যাওয়া সম্পদ উদ্ধার ও চুরির সঙ্গে জড়িতদের তাড়াশ থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। চুরি যাওয়ায় কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সাথে নতুন করে শ্যালোমেশিন ও ট্রান্সফরমার কিনতে ভোগান্তিতে পড়েছেন । ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক তুহিন হোসেন জানান, চুরির ঘটনার পর বর্তমানে এলাকায় চোর আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন বলেন, পুলিশ অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে কাজ করছে।