ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে সৈয়দপুরে আহলে সুন্নাতের ডাকে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ | Daily Chandni Bazar ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে সৈয়দপুরে আহলে সুন্নাতের ডাকে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ২০:৩৬
ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে সৈয়দপুরে আহলে সুন্নাতের ডাকে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ
নীলফামারী জেলা সংবাদদাতাঃ

ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে সৈয়দপুরে আহলে সুন্নাতের ডাকে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ

ভারতীয় আগ্রাসন, উগ্রতা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় মিডিয়ার তথ্য সন্ত্রাসের প্রতিবাদে নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়ত সৈয়দপুর এর ডাকে ওই বিক্ষোভে সমাবেশ দলে দলে হাজার হাজার মসলমানরা অংশগ্রহন করে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) শহরের জিআরপি চত্ত্বর থেকে শুরু হওয়া ওই বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর  আগে ওই বিক্ষোভ মিছিলে যোগদান করতে শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে জুমা নামাজের পর খন্ড খন্ড মিছিল করে সর্বস্তরের আলেম সমাজসহ সকল মত আক্বীদার ধর্মপ্রাণরা ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষাথর্ীরাও দলে দলে অংশগ্রহণ করেন।
 
এ সময় হাজার হাজার জনতা বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয়দের মিথ্যাচার, আগ্রাসন, আজমের শরীফের খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহ.) এর দরগাহ নিয়ে ষড়যন্ত্র, ত্রিপুরা বাংলাদেশ দুতাবাসে হামলা ও জাতীয় পতাকার অবমাননা, ইসকন কর্তৃক চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানান।
 
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আহলে সুন্নাতের খলিফা আসিফ আশরাফী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, আহলে সুন্নাতের খালিদ আজম, মাওলানা শাহিদ রেজা রিজভী, মোমিনুল ইসলাম রিজভী, আল-ফারুক একাডেমীর শিক্ষক সাহবাজ উদ্দিন সবুজ, মাওলানা ইমরান হাবিব আশরাফী, মাওলানা সাবির হোসেন রিজভী, মাওলানা গোলাম কাদের হিরা আশরাফী, শামস চুন, শেখ কুতুব উদ্দিন, শাহিদ কাদেরী,  হায়দার এমাদী, ছাত্রদল নেতা আরমান হোসেন, শাম্মু আশরাফী, রাকিব খান এমাদী, সৈয়্যদ পাপ্পু বাখশি, নাদিম আশরাফী, আশরাফসহ আহলে সুন্নাতের অন্যান্য আলেমবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এতে সভাপত্বি করেন জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সভাপতি আলহাজ্ব গুলজার আশরাফী।
 
বক্তারা শান্তিপ্রিয় বাংলাদেশ ভারতের অযাচিত আগ্রাসনের তীব্র প্রতিবাদ জানি বলেন, যে ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমরা নিরাপদ নয়, যে দেশে মুসলমানদের ইবাদতস্থল মসজিদ, মাদ্রাসা নিরাপদ নয় এমনকি সকল ধর্মের শ্রদ্ধাস্থল আজমের শরীফেও তাঁদের কুনজর পড়েছে সেই ভারত দেশ দেশ আমাদের যেনো সংখ্যালঘু সুরক্ষার শিক্ষা না দেয়। আগে নিজের দেশে সংখ্যালঘুেেদের নিরাপত্তা দিন।  ভারত ইসকনের মাধ্যমে বাংলাদেশ অস্থিতিশিল করতে তৎপর বিধায় ‘ইসকন’কে ‘জঙ্গি সংগঠন’ দাবি করে তা নিষিদ্ধের দাবী জানান। কার তাদের বেশির ভাগ কার্যক্রম দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের বিশ্বাসের ওপর আঘাত হেনেছে। শুধু ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত নয়, এটি দেশের হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে থাকা সম্প্রীতি, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। আমরা এদেশে ধর্ম নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেব না। ‘ইসকন’কে নিষিদ্ধ করতেই হবে।
 
বক্তারা আরও বলেন, তাঁদের দেশে আমাদের দুতাবাসে হামলা করা হয়েছে, পতাকা পুড়ানো হয়েছে। এর জন্য ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। তারা আরও বলেন, আমরা অসাম্প্রদায়িক জাতি হিসেবে পরিচিত। আমাদের দেশের বৈষম্যবিরোধী শিক্ষাথর্ীরা গণঅভ্যুত্থানের পরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের মন্দির পাহারা দিয়েছে। আমরা হিন্দু ধর্ম বা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে নয়, অযথা মিথ্যা রটিয়ে হিন্দু নির্যাতনের কাহিনী না করার জন্য ভারতকে হুশিয়ার করেন আহলে সুন্নাতের নেতৃবৃন্দ।
 
সেই সাথে দেশের মধ্যে বিভিন্ন মসজিদ, দরগাহ ও মাজারে হামলা করে মুসলমানদের মাঝে একতা বিনষ্টকারীদেরও চিহ্নিত করে তাদের শাস্তির দাবী জানানো হয়।
 
পরে সালাতো সালাম ও দেশ জাতির কল্যানে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় বিশাল ওই প্রতিবাদ সমাবেশ।