সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আগাম জাতের খিরা চাষে বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছে কৃষক। চলতি মৌসুমে উল্লাপাড়া উপজেলায় অন্তত ৩৫০ হেক্টর জমিতে খিরা চাষাবাদ হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে হওয়ায় খিরার ফলন অন্য বছরের তুলনায় অনেক ভালো হয়। কৃষি অফিসের সহায়তা ও পরামর্শে সঠিক সময়ে খিরা চাষ করে লাভের মুখ দেখছে কৃষক। প্রতি হেক্টর জমিতে অন্তত ৩৫ মেট্রিকটন খিরা উৎপাদন হয়েছে। গতবছর খিরা চাষাবাদ করে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখে ভালো দাম না পাওয়ায় অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে এবছর খিরা ভালো দামে বিক্রি করে ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখবে বলে আশাবাদী খিরা চাষিরা। উপজেলার চলনবিল অধ্যুষিত উধুনিয়া, বড়পাঙ্গাসী, লাহিড়ী মোহনপুর, কয়রা ইউনিয়নে খিরা চাষাবাদ অনেক বেশি হয়। এই খিরা আবাদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে লাহিড়ী মোহনপুর চর-বর্ধনগাছা এবং চাকসা ২টি খিরার আড়ৎ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্রেতারা খিরা কেনার জন্য আসে স্থানীয় খিরার আড়তে।চলনবিলের খিরার মান অত্যান্ত ভালো হওয়ায় সারাদেশে চাহিদা অনেক বেশি। এই অঞ্চলে অলরাউন্ডার, শাহজাদি, তামিল জাতের খিরা চাষাবাদ করে কৃষক ভালো ফলন পেয়েছে। কয়রা এলাকার খিরা চাষি শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি এবার ৩ বিঘা জমিতে খিরা চাষাবাদ করেছেন। গতবছর রাজনৈতিক অস্থিরতায় অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন কিন্তু এবছর ফলন ভালো এবং দাম বেশি পাওয়ায় সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে।বর্ধণগাছা এলাকার কৃষক রমজান আলী, মামুন প্রামানিক, মোহাম্মদ আলী জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক সময়ে আগাম জাতের খিরা চাষাবাদ করে ফলন ভালো পেয়েছি। প্রতি মন খিরা ১৮শ' টাকা থেকে ২২শ' টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে । তারা খিরার ভালো দাম পেয়ে অনেক খুশি।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন জানান, চলতি মৌসুমে উল্লাপাড়ায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে খিরা শশা আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ৩৫ মেট্রিকটন। এই অঞ্চলে অলরাউন্ডার, শাহজাদি, তামিল জাতের খিরা চাষাবাদ হয়েছে। প্রতি মন খিরা বিক্রি হচ্ছে ১৮শ থেকে ২২শ' টাকা। তিনি আরও জানান উপজেলা কৃষি অফিস থেকে চাষিদের পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা প্রথম থেকেই দিয়ে আসছে।