বগুড়ায় র্যাবের পোশাকে কলেজছাত্রকে অপহরণ করা হয়। ওই ঘটনায় অপহরণ চক্রের এক নারী সদস্যকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আটক করেছে পুলিশ।
১৪ ডিসেম্বর শনিবার সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকা থেকে ওই নারীকে আটক করা হয়। অপহরণ হওয়া ওই কলেজ ছাত্র হলেন বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান হক কলেজের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির শেষ বর্ষের ছাত্র ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই গ্রামের হাবিল সরকারের ছেলে ফেরদৌস সরকার (২৩)।
১৫ ডিসেম্বর রোববার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনুর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বগুড়ার কলেজ ছাত্রকে অপহরণের ঘটনায় পুলিশ মুক্তিপণের ফাঁদ পাতে। এসময় অপহরণ চক্র বিকাশ নম্বর দেয়। বিকাশ নম্বরটি ছিলো নারায়ণগঞ্জের মিজমিজি এলাকার। বগুড়ার পুলিশের সাথে আমরাও ফাঁদ পেতে বসে থাকি। তখন বিকাশে সেই টাকা তুলতে আসে ওই চক্রের কোনো একজনের স্ত্রী। আমরা তাকে আটক করে বগুড়া পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।
পরে আটক ওই নারীর দেওয়া তথ্যমতে, নরসিংদীর মাধবদী থেকে অপহৃত কলেজ ছাত্র ফেরদৌসকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে বগুড়ার জহুরুলনগর এলাকার একটি ছাত্রাবাস থেকে ওই ছাত্রকে ধরে নিয়ে যান র্যাবের পোশাক পরা কয়েকজন ব্যক্তি। সকালে স্বজনেরা র্যাব-১২ এর বগুড়া ক্যাম্প ও যৌথ বাহিনীর ক্যাম্পে গিয়ে জানতে পারেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এমন কোনো অভিযান চালায়নি। এর মধ্যে দুপুরে অপহরণকারী চক্র ওই কলেজছাত্রের পরিবারের কাছে ফোন করে সাত লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন নম্বরে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা পাঠালেও ফেরদৌসকে মুক্তি দেয়নি ওই চক্র। এরপর ফেরদৌসের স্ত্রী মাহবুবা আকতার বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে অপহরণের অভিযোগে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন বলে জানান বগুড়া সদর থানা পুলিশ। সূত্র: asiantv