রংপুরের বিআরটিএ কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান চালিয়ে হাসানুর রহমান ও দেলোয়ার হোসেন নামের দুই দালালকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন দুদক রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ।
আটকের পর শাস্তি
আটককৃতদের মধ্যে হাসানুর রহমান রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে এবং দেলোয়ার হোসেন রংপুর নগরীর লালপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক, রংপুর জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঝন্টু আলী, তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। তবে জরিমানার অর্থ তাৎক্ষণিক পরিশোধ করে তারা কারাদণ্ড থেকে রক্ষা পান।
দুদকের বক্তব্য
দুদকের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ বলেন, “বিআরটিএ কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করিয়ে দালালের মাধ্যমে ১০-২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে কাজ করানো হয়—এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। সেবা নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে দালালদের কথাবার্তা পর্যবেক্ষণ করে এই দুই দালালকে আটক করি এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করি।”
তিনি আরও জানান, “আটককৃতরা বিআরটিএ অফিসের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নন। এরা কেউ চায়ের দোকানদার, আবার কেউ অফিসের আশপাশে ঘোরাঘুরি করে দালালি করে। এ কাজে বিআরটিএ কার্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
স্থানীয় প্রতিক্রিয়া
বিআরটিএ কার্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে দালালচক্রের কর্মকাণ্ডে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছিল। দুদকের এ অভিযান স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি আনলেও দালালচক্রের পুরো নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলার দাবি জানিয়েছেন অনেকে।
দুদকের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।