সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সুমি খাতুন (২২) নামের ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূ ১৬ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। গত ৫ ডিসেম্বর চক-চান্দাইকোনা (নিশ্চিন্তপুর) গ্রামে স্বামী আব্দুল হালিমের বাড়ি থেকে তিনি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় সুমির বাবা গঞ্জের আলী রায়গঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের বিবরণ
সলঙ্গা থানার ঘুড়কা (নতুনপাড়া) গ্রামের গঞ্জের আলীর মেয়ে সুমি খাতুনের ২০২৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রায়গঞ্জের চক চান্দাইকোনা গ্রামের আব্দুল হালিমের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সুমি তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ হওয়ার কয়েকদিন আগে সুমিকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। সুমি তার বাবাকে জানিয়েছিলেন, তাকে মারধরের কথা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
ঘটনার দিন ও বর্তমান পরিস্থিতি
৫ ডিসেম্বর সকাল ৭টার দিকে সুমির স্বামী আব্দুল হালিম ফোন করে জানান, সুমিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর সুমির বাবা-মা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো হদিস পাননি।
১৯ ডিসেম্বর সুমির বাবা গঞ্জের আলী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, “আমার মেয়েকে তার স্বামী বরাবরই নির্যাতন করত। সে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নিখোঁজ হয়েছে। আমার মেয়ে বেঁচে আছে কিনা, তা নিয়ে আমি শঙ্কিত।”
পুলিশের বক্তব্য
রায়গঞ্জ থানার সাব-ইন্সপেক্টর ইয়াছিন আলী জানান, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং সুমি খাতুনকে দ্রুত উদ্ধার করার চেষ্টা করছি।”
রায়গঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, “অভিযোগের তদন্ত চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে অগ্রগতি জানানো হবে।”
অন্যদিকে, সুমির স্বামী আব্দুল হালিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সুমির পরিবার ও স্থানীয়রা তাকে খুঁজে বের করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।