বগুড়ার ধুনটে অলৌকিকভাবে শ্রাবনী আক্তার (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রী ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে। এঘটনা পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। তাকে এক নজর দেখতে শত শত উৎসুক মানুষ তাদের বাড়িতে ভিড় করছে। স্কুল ছাত্রী শ্রাবনী আক্তারের নাম পাল্টে রাখা হয়েছে ওমর ফারুক শ্রাবন।
জানাগেছে, ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের সরুগ্রাম পূর্বপাড়া এলাকার খোকন মিয়ার তিন মেয়ের মধ্যে শ্রাবনী আক্তার খুশি সবার বড়। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। কিন্তু এক বছর আগে থেকে শ্রাবনী আক্তারের মধ্যে ছেলেদের মতো ভাবভঙ্গিমা লক্ষ্য করেন তার পরিবার। একারনে ৬ মাস ধরে শ্রাবনীকে তার পরিবার ডাক্তারে কাছে নিয়ে পরীক্ষা ও চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই এক রাতে শ্রাবনী আক্তার অলৌকিকভাবে ছেলের গঠনে রূপান্তরিত হয়ে যায়। শনিবার এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত উৎসুক জনতা ওই মেয়েটিকে একনজর দেখতে বাড়িতে ভিড় জমায়।
এব্যাপারে শ্রাবনী আক্তার জানায়, মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ায় তার কোন দু:খ নেই। বরং বাবার সাংসারিক কাজে সহযোগিতা করতে পারবে বলে অনেটাই খুশি সে।
এবিষয়ে শ্রবনী আক্তারের বাবা খোকন মিয়া জানান, হঠাৎ করেই আমার মেয়ের শারীরিক গঠন ও আচার আচরন পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পেরে তাকে নিয়মিত ডাক্তার দেখাই। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার মেয়েকে ডাক্তার দেখিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে বাড়িতে নিয়ে এসে মুরব্বীদের উপস্থিতিতে তাকে ছেলেদের কাপড় পড়িয়ে দেই এবং শনিবার তার মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আমার কোন পুত্র সন্তান না থাকায় অনেক কষ্ট সইতে হইছে। তাই হয়তো আল্লাহ আমার বড় মেয়েকে ছেলেতে রূপান্তরিত করেছেন। তার নাম পাল্টে ওমর ফারুক শ্রাবন রাখা হয়েছে।
এবিষয়ে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট এর সহকারী অধ্যাপক ডা. তাইয়েব ইবনে জাহাঙ্গীর জানান, জেন্ডার ডিসফোরিয়া জৈবিক, মানসিক এবং সামাজিক কারনগুলোর মিশ্রণ হতে পারে। জন্মের সময় হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ও জিনগত প্রভাব সহ বিভিন্ন কারনেও জেন্ডার ডিসফোরিয়া হতে পারে। তাই মেয়েটিতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে হবে।