সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড একটি ষড়যন্ত্র: সারজিস আলম | Daily Chandni Bazar সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড একটি ষড়যন্ত্র: সারজিস আলম | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ২২:১১
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড একটি ষড়যন্ত্র: সারজিস আলম
চাঁদনী ডিজিটাল ডেস্কঃ

সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড একটি ষড়যন্ত্র: সারজিস আলম

সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ষড়যন্ত্রমূলক বলে উল্লেখ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. সারজিস আলম। তিনি বলেন, সচিবালয়ের ভেতরে কীভাবে একটি কুকুর পাওয়া যেতে পারে। এখানে আরও কোনো চক্রান্ত আছে কিনা? ষড়যন্ত্র আছে এটা আমরা নিশ্চিত। কীভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা চলছে। সেটিও আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে পর্যবেক্ষণ ও প্রতিহত করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আজ বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব হলরুমে জাতীয় নাগরিক কমিটির 'ঠাকুরগাঁও রাইজিং' অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সচিবালয়ের বড় আমলারা খুনি হাসিনাকে চেয়ারে বসিয়ে রেখেছিল উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, আমলাদের একটা বড় অংশ বিগত ১৬ বছরের সকল অন্যায় অপকর্মকে বৈধতা দিয়েছে। এদের একটা বড় অংশ দেশের সরকারি অফিসগুলোতে খুনি হাসিনার পারিবারিকতন্ত্র চালিয়েছে। রেফারেন্স, স্বজনপ্রীতির ভিত্তিতে, দলীয়করণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে প্রত্যেকটা সরকারি অফিস দলীয়করণ হয়ে গিয়েছিল।

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম আরও বলেন, ‘আগুন লাগা দুই রুমের মধ্যে দূরত্ব ১০০ মিটার। এটা কীভাবে সম্ভব। আগুন একটা নির্দিষ্ট এলাকা থেকে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়বে। এটাই হওয়ার ছিল। কিন্তু এমন দুটি রুমে আগুন লেগেছে যে দুটা রুম অভ্যুত্থানের সহযোদ্ধাদের। যারা এখন বর্তমান সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের রুম।’

খুনি হাসিনার পক্ষে কিছু আমলা সচিবালয়ে এখনো অফিস করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন অবস্থায় সচিবালয় কীভাবে নিরাপদ থাকবে। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে গণঅভ্যুত্থানের স্পিড ধারণ করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

জাতীয় নাগরিক কমিটি নিয়ে তিনি বলেন, এটি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি রাজনৈতিক শক্তি। সকলেই অনুধাবন করছে নতুন কিছু দরকার। বাংলাদেশের লিডারশিপগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। আগামীতে ডিমান্ড অনুযায়ী দক্ষ নেতৃত্ব তৈরির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে নাগরিক কমিটি।

নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের আগে যদি বলা যেত দুই-তিন বছর সংস্কারের জন্য সময় দিতে হবে, তখন শুধু রাজনৈতিক দল না দ্বিমত পোষণকারী একজন সাধারণ মানুষকেও পাওয়া যেত না। আবার নির্বাচনের সময়কে দীর্ঘ করে দেশের নাজুক পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়া যাবে না।

গণঅভ্যুত্থানের এখনো ৫ মাস পার হয়নি। তাদের স্ট্যান্ডার্ড সংস্কারের সময় ও সুযোগ দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সূত্র: বাসস