বগুড়া জেলা যুবলীগের সহসভাপতি এবং পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী আলহাজ শেখকে (৫৩) তালাবদ্ধ একটি বাসার টয়লেট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) গভীর রাতে শহরের সূত্রাপুর এলাকায় তিন ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক অভিযান
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এফ এম মঈনুদ্দিন জানিয়েছেন, আলহাজ শেখের বিরুদ্ধে ২০ টি মামলা রয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যার মামলা উল্লেখযোগ্য। পুলিশ তথ্য পায় যে তিনি দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর নিজ বাড়িতে ফিরেছেন।
মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে পুলিশ সদর থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ দল আলহাজ শেখের বাসায় অভিযান চালায়। আটতলা ভবনের সব ইউনিট তল্লাশি করেও তাঁকে খুঁজে পায়নি পুলিশ। সন্দেহ হয় যে তিনি ছাদ দিয়ে পাশের ভবনে পালিয়ে গেছেন।
পাশের আটতলা ভবনের একটি তালাবদ্ধ ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। ফ্ল্যাটের মালিক ঢাকায় অবস্থান করছিলেন এবং ফোনে পুলিশকে চাবি সরবরাহ করেন। রাত ৩টার দিকে তালা খুলে ফ্ল্যাটের টয়লেট থেকে আলহাজ শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আত্মগোপন ও স্বীকারোক্তি
গ্রেপ্তারের পর আলহাজ শেখ পুলিশকে জানান, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং গত ৩০ ডিসেম্বর বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর থেকে তিনি নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।
পরবর্তী পদক্ষেপ
গ্রেপ্তার আলহাজ শেখকে বর্তমানে ডিবি পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। আজ বুধবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি মঈনুদ্দিন।