বগুড়ার সদরের বানদীঘি গ্রামে ওহেদ আলী হত্যার দায়ে মাসুম নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অভিযুক্ত অন্য ১৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইফতেখার আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানিয়েছেন, যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মাসুম বগুড়া সদরের বানদীঘি গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।
২০১৬ সালের ২৯ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে ওহেদ আলী (৪৫) শহরে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। বানদীঘি বাজারের চাতালের মোড়ে পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জেরে মাসুমের নেতৃত্বে আসামিরা ওহেদ আলীকে আটক করেন।
ওহেদের চিৎকার শুনে তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এগিয়ে এলে মাসুম ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওহেদকে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ওহেদকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে ১৮ জনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১৮ জনের বিরুদ্ধেই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে প্রায় আট বছর পর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। তবে রায় ঘোষণার সময় মাসুম পলাতক ছিলেন।