ঢাকায় বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫৩তম বার্ষিকী উদযাপন | Daily Chandni Bazar ঢাকায় বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫৩তম বার্ষিকী উদযাপন | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫ ১৮:৪৬
ঢাকায় বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫৩তম বার্ষিকী উদযাপন
সঞ্জু রায়:

ঢাকায় বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫৩তম বার্ষিকী উদযাপন

রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার সোভিয়েত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসএএবি) এর সহযোগিতায় ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউজে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার মূলে থাকা দুই দেশের মধ্যে গভীর ও স্থায়ী বন্ধনকে উদযাপন করা হয়। স্বাগত বক্তব্যে ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের প্রধান পাভেল ডভয়েচেনকভ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সোভিয়েত ইউনিয়নের অকুণ্ঠ সমর্থন এবং পরবর্তী বছরগুলোতে সোভিয়েত ইউনিয়নের অব্যাহত অঙ্গীকারের উপর জোর দেন। "সোভিয়েত ইউনিয়নের জনগণ, নেতৃবৃন্দ এবং সামরিক বাহিনী কূটনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এবং বিশ্বব্যাপী সংগ্রামী জনগণের কণ্ঠস্বর শোনা নিশ্চিত করেছিল মর্মে বলেন পাভেল। এছাড়াও তিনি শিক্ষা সহযোগিতার তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, হাজার হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রাশিয়ায় পড়াশোনার জন্য পূর্ণ বৃত্তি পেয়েছে। বর্তমানে ছয় হাজারেরও বেশি সোভিয়েত ও রাশিয়ান স্নাতক শিক্ষার্থী শিক্ষা, প্রযুক্তি ও শিল্পের মতো খাতে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে। দু'দেশের মধ্যে জ্ঞান ও বন্ধুত্বের স্থায়ী সেতুবন্ধন তৈরি করছে। বাংলাদেশে রাশিয়ান ফেডারেশন দূতাবাসের কাউন্সেলর অ্যান্টন চেরনভ রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ও ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, 'আমাদের দেশগুলো অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ এশিয়ায় বন্ধুত্ব, সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার শক্তিশালী স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং একে এ অঞ্চলে সহযোগিতার মডেলে পরিণত করেছে। সোভিয়েত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান এবং অন্যান্য বক্তারা এই ঐতিহাসিক দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরেন। তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে বাংলাদেশের পুনর্গঠন পর্যন্ত উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদারে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও বর্তমান রাশিয়ার অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন। তাঁরা উল্লেখ করেন যে, রাশিয়ার সমর্থন শুধুমাত্র অভিজ্ঞ নাগরিক সমাজ গঠনে সাহায্য করেনি বরং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে মানবতার মূল্যবোধ ও অন্তর্ভুক্তিও জাগ্রত করেছে। অনুষ্ঠানে শিক্ষা, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি এবং জ্বালানির মতো ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে চলমান সহযোগিতা উদযাপনও করা হয়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে রাশিয়ার অকুণ্ঠ সমর্থনের প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ঐতিহ্যবাহী রুশ ও বাংলাদেশি গান ও নৃত্যের সমন্বয়ে একটি প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপনের সমাপ্তি ঘটে যা দুই দেশের মধ্যে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রদর্শন করে।