
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের পাড়া গ্রামে পরকীয়ার জেরে কাবিল উদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবক নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন। গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাত ২টা ৩০ মিনিটে হাটগাড়ি গ্রামের ঈদগাহ মাঠের পাশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানা গেছে। নিহত কাবিল পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্র ও থানা পুলিশ জানায়, কাবিল উদ্দিনের সঙ্গে সুমাইয়া নামের এক বিবাহিত নারীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুমাইয়ার স্বামী বেলাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। পরকীয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে সুমাইয়ার পরিবার থেকে মেয়েটির ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়।
এরপর মঙ্গলবার গভীর রাতে অজ্ঞাত নম্বর থেকে কাবিলকে ফোন করে ঈদগাহ মাঠে ডেকে নেয় সুমাইয়া। সেখানে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে কাবিল অজ্ঞান হয়ে পড়লে সুমাইয়া তাকে নিজের বাবার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। রাত ৩টার দিকে সজীব নামে একজন তাকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই কাবিল মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনার পরপরই সজীব পালিয়ে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান সিদ্দিক (লিঙ্কন) জানান, "রাত ৩টার দিকে কাবিল উদ্দিনকে হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।"
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম বলেন, "ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সন্দেহভাজনদের শনাক্তের কাজ চলছে। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।"
এদিকে মর্মান্তিক এ হত্যাকাণ্ডে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।