
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে রংপুরে দোকানপাট বন্ধ রেখে আধাবেলা ধর্মঘট পালন করেছেন ব্যবসায়ীরা। বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নগরীর সব মার্কেট, বিপণিবিতান ও দোকান বন্ধ রাখা হয়। তবে জরুরি ও পচনশীল পণ্যসামগ্রীর দোকান, যেমন কাঁচাবাজার ও ওষুধের ফার্মেসিগুলো খোলা ছিল।
বিক্ষোভ-সমাবেশ ও দোয়া মাহফিল
দুপুরে নগরীর সুপার মার্কেটের সামনে ফিলিস্তিনের শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল এবং দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এর আগে সকালে নগরীর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সুপার মার্কেটের সামনে সমবেত হন।
সেখানে রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও দোকান মালিক সমিতির যৌথ আয়োজনে এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে ফিলিস্তিনের নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। এসময় অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং আল্লাহর কাছে নির্যাতিত ফিলিস্তিনবাসীর জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।
বিশাল বিক্ষোভ মিছিল
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশ নেন ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, চিকিৎসক, রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং সর্বস্তরের মানুষ।
রংপুর নগরীর ১৫৬টি ব্যবসায়ী সংগঠন এই ধর্মঘটে সংহতি জানিয়ে অংশ নেয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন
আকবর আলী – প্রেসিডেন্ট, রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি
জয়নাল আবেদীন – সাধারণ সম্পাদক, মহানগর দোকান মালিক সমিতি
তানবীর হোসেন আশরাফী – যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, দোকান মালিক সমিতি
রশিদুজ্জামান বুলবুল – সাধারণ সম্পাদক, সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতি
আলমগীর হোসেন আলম – যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা দোকান মালিক সমিতি
এমদাদ হোসেন – পরিচালক, রংপুর চেম্বার অব কমার্স
আব্দুল আলীম বুলু – সংগঠক, জুয়েলারি ব্যবসায়ী সমিতি
মোখলেছুর রহমান – যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মোটরসাইকেল পার্টস ব্যবসায়ী সমিতি
প্রতিবাদকারীদের দাবি
বক্তারা বলেন, ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের শিশু, নারী ও সাধারণ মানুষ যেভাবে হত্যার শিকার হচ্ছেন, তা মানবতাবিরোধী অপরাধ। তারা বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি এই বর্বরতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।