কুয়াকাটায় আগুনে পোঁড়া বন পরিদর্শন করলেন সহকারী বন সংরক্ষক | Daily Chandni Bazar কুয়াকাটায় আগুনে পোঁড়া বন পরিদর্শন করলেন সহকারী বন সংরক্ষক | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ০১:১৮
কুয়াকাটায় আগুনে পোঁড়া বন পরিদর্শন করলেন সহকারী বন সংরক্ষক
এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া, পটুয়াখালীঃ

কুয়াকাটায় আগুনে পোঁড়া বন পরিদর্শন করলেন সহকারী বন সংরক্ষক

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সংরক্ষিত বনে আগুনে পুড়ে যাওয়া এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন পটুয়াখালী সহকারী বন সংরক্ষক মো. তারিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে তাঁর সঙ্গে ছিলেন মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, কুয়াকাটা বিট কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী। এছাড়া স্থানীয় সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন সংরক্ষিত বনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিট কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেন রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। ঘটনার তদন্তে পটুয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সফিকুল ইসলাম একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং সহকারী বন সংরক্ষক তারিকুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বিট কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম সংরক্ষিত বনের প্রায় ৮০-৮৫টি তুলাগাছের তুলা স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করেন। গাছ থেকে তুলা সংগ্রহের সময় নিচে আগুন দেওয়ায় বনভূমিতে আগুন ধরে যায়। এতে উপকূলীয় এই অঞ্চলের পরিবেশ ও প্রতিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি অভিযোগ করেন, বিট কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম অতীতেও বনের মাটি, গাছ, ঘাস, ডাব ইত্যাদি বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সহকারী বন সংরক্ষক তারিকুল ইসলাম বলেন, “বনের দুইটি স্থানে আগুন দেওয়ার চিহ্ন পেয়েছি। একটি জায়গায় তুলা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আগুন দেওয়া হয়েছে। অপর জায়গায় তুলাগাছ না থাকলেও আগুন লাগার প্রমাণ রয়েছে, যা পথচারী বা মাদকসেবীদের সিগারেট থেকে লাগতে পারে বলে ধারণা করছি।”

তিনি আরও জানান, “এছাড়া পরিদর্শনের সময় বনের ভিতরে গাছ কাটার চিহ্নও পাওয়া গেছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”