
বগুড়ায় এক পিতা তার সন্তানদের বিরুদ্ধে অসুস্থতার সুযোগে সম্পত্তি ও ব্যবসা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন। সোমবার (২১ এপ্রিল) বগুড়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন মাটিডালী এলাকার বাসিন্দা ওই ভুক্তভোগী পিতা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, দীর্ঘদিন পায়ের সমস্যায় ভুগে চিকিৎসাধীন থাকার সময় তার পুত্র রনি ও কন্যা সীমা খাতুন তার অজান্তে ও অসুস্থ অবস্থায় তার নামের সব সম্পত্তি ও ব্যবসার মালিকানা নিজেদের নামে লিখে নেন। বর্তমানে তিনি ভাড়া বাসায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, “মাটিডালী এলাকার সাবেক ৯৫৬২ দাগে ৫ শতক জমিতে নির্মিত একটি দোতলা বাড়ি, ৯৫৯১/৯৫৬৬ দাগে আরেকটি একতলা ভবন, টিনশেড ঘর, বারপুর মধ্যপাড়ায় ৫টি দোকান ঘরসহ মোট ৩০ শতক আবাদি জমি এবং ১০ শতকের একটি কলাবাগান আমার অজান্তে তারা নিজেদের নামে লিখে নিয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “আমার ব্যবসার অধীনে থাকা ১৮টি ট্রাকের মধ্যে ১১টির কাগজপত্র এখন রনির নামে এবং ২টি সীমা খাতুনের নামে করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৫টি ট্রাক এখনও আমার নামে থাকলেও সেগুলোর আয়ের টাকা আমাকে দেওয়া হচ্ছে না।”
অভিযোগকারী পিতা বলেন, “আমি এখন পঙ্গু, উপার্জনের কোনো উপায় নেই। জীবনের এই শেষ প্রান্তে এসে সন্তানদের এমন আচরণ আমাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে। তারা আমাকে নিজ বাড়ি থেকেও বের করে দিয়েছে।”
সন্তানদের এধরনের আচরণকে “ষড়যন্ত্রমূলক ও অমানবিক” বলে উল্লেখ করে তিনি প্রশাসনের কাছে আইনগত সহায়তা ও প্রতিকার কামনা করেছেন।