ঘোড়াঘাটে রাস্তা খুঁড়ে লাপাত্তা ঠিকাদার, বিপাকে ৯ গ্রামের মানুষ | Daily Chandni Bazar ঘোড়াঘাটে রাস্তা খুঁড়ে লাপাত্তা ঠিকাদার, বিপাকে ৯ গ্রামের মানুষ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ ০১:২৫
ঘোড়াঘাটে রাস্তা খুঁড়ে লাপাত্তা ঠিকাদার, বিপাকে ৯ গ্রামের মানুষ
উপজেলা সংবাদদাতা, ঘোড়াঘাট, দিনাজপুরঃ

ঘোড়াঘাটে রাস্তা খুঁড়ে লাপাত্তা ঠিকাদার, বিপাকে ৯ গ্রামের মানুষ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার বানিয়াল থেকে চেচুরিয়া পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তার কাজ ফেলে রেখেছেন এক ঠিকাদার। বালু দিয়ে খুঁড়ে রাখা রাস্তার কাজ শেষ না করায় বর্ষার পানিতে রাস্তা পরিণত হয়েছে কর্দমাক্ত কাদায়। এতে দুর্ভোগে পড়েছে আশপাশের ৯টি গ্রামের প্রায় ১০-১২ হাজার মানুষ।

চলাচলের অনুপযোগী সড়ক:
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের মাঝ বরাবর মাটি কেটে বালু দেওয়ার পর কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সেটি কাদা হয়ে উঠেছে। ফলে ওই সড়কে হেঁটে চলা তো দূরের কথা, যান চলাচলও একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা এবং কৃষকরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

স্থানীয়দের ক্ষোভ:
চেচুরিয়া গ্রামের কৃষক আইনুল বলেন, “ধান কাটার মৌসুম সামনে। এই রাস্তা দিয়ে ধান ক্ষেত থেকে আনা হয়, হাটে বিক্রি হয়। রাস্তা না ঠিক হলে খরচ বাড়বে, আমরা ন্যায্যমূল্য পাব না।”

রায়হান নামের এক অভিভাবক জানান, “এই সড়কের পাশে রয়েছে কয়েকটি স্কুল ও মাদ্রাসা। বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া এখন দুঃস্বপ্নের মতো। বৃষ্টিতে কাদা, খরায় ধুলো – দুটোতেই বিপদ।”

ভ্যানচালক ইয়াসিন আলীর ভাষায়, “এই রাস্তা দিয়া ভ্যান চালাইতে গেলে ঠ্যালা লাগে। মানুষ আর চায় না ভ্যানে উঠতে। রুজি-রোজগারে কষ্টে আছি।”

ঠিকাদারের গাফিলতি ও এলজিইডির অবস্থান:
জানা গেছে, বাবু ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটির দায়িত্ব পেলেও পরে তারা কাজটি তারিকুল ইসলাম সাজু নামের আরেক ঠিকাদারকে বিক্রি করেন। এলজিইডি জানিয়েছে, বারবার তাগিদ দিলেও কাজ শুরু হয়নি, বরং নির্ধারিত সময় শেষে বর্ধিত সময় দেওয়া হলেও সেটিও মানেননি ঠিকাদার।

দিনাজপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, “ঠিকাদারকে আবারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে।”

একটি মাত্র রাস্তায় ৯টি গ্রামের হাজারো মানুষের জীবনযাত্রা নির্ভর করলেও সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় তা এখন যেন দুঃস্বপ্ন। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে কৃষি উৎপাদন, শিক্ষাপ্রবাহ এবং সাধারণ জীবনযাত্রা ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।