প্রকাশিত : ৭ মে, ২০২৫ ২১:৫০
বগুড়ায় এনসিটিএফ'র দ্বিবার্ষিক
নির্বাচন ২০২৫ অনুষ্ঠিত
সভাপতি মারিয়াম, সম্পাদক আবরার
ষ্টাফ রিপোর্টার
গণতান্ত্রিক পন্থায় গোপন ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো জাতীয় পর্যায়ের শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন'স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) বগুড়া জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক নির্বাচন ২০২৫। ইয়েস বাংলাদেশের সহযোগিতায় বুধবার দুপুরে শহরের জেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে সভাপতি পদে জায়মা আলম মারিয়াম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এস এম হাসিব আবরার।
সংগঠনের জেলা ভলেন্টিয়ার সঞ্জু রায়ের ব্যবস্থাপনায় শিশুদের প্রতিনিধি হিসেবে বগুড়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত সংগঠনের সাধারণ সদস্য ৩৫ জন শিশুর প্রত্যক্ষ ভোটে সংগঠনের আগামী দুই বছরের জন্য নির্বাচিত কমিটিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন সহ-সভাপতি শাহরিয়ার মাশফিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অপ্সরা বিনতে মোত্তালেব অনন্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পূজা সাহা, শিশু গবেষক পদে যথাক্রমে মইনুদ্দিন চিশতী ও মেহেরুন্নেসা লামইয়া, শিশু সাংবাদিক পদে যথাক্রমে জারিন আনজুম বৃতি ও ফাহিম শাহরিয়ার এবং চাইল্ড পার্লামেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে শাহরিয়ার আলিফ ও আয়েশা তাসনিয়া রেজা। নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ও শিল্পকলা একাডেমির চিত্রাংকন প্রশিক্ষক মৌসুমী জামান।
এনসিটিএফ এর সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি নাফিজ মন্ডলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মালিহা ইসলামের পরিচালনায় নির্বাচনের পূর্বে শিশুদের উদ্দেশ্যে সংগঠনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কার্যপ্রণালী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন বিদায়ী কমিটির চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার মিরাব্বি হাসান সিয়াম, শিশু গবেষক রোকনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মৌমিতা আক্তার এবং জেলা ভলেন্টিয়ার হাবিবা নাসরিন। নির্বাচন পরবর্তী বিদায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির হাত ধরে জাতীয় পর্যায়ে কাজ শুরু করা ন্যাশনাল চিলড্রেন'স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) সংগঠনটি সারাদেশে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়নসহ শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন। প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং ইয়েস বাংলাদেশের সহযোগিতায় সংগঠনটি বগুড়াসহ সারাদেশের শিশুদের জন্য প্রতিবছর চাইল্ড পার্লামেন্টের আয়োজন, জেলা পর্যায়ে গার্লস টেক ওভার কর্মসূচি, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড মনিটরিং, শিশুদের নেতৃত্ব বিকাশে সৃজনশীল প্রতিযোগিতা, প্রশিক্ষণ ও ইতিবাচক নানা কর্মসূচি গ্রহণ, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা, শিশুদের অধিকার রক্ষায় প্রশাসনের সাথে লিঁয়াজু স্থাপনের মতো গুরুত্বপূর্ণ একাধিক কাজ করে আসছে যা তৃণমূলে প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্বমহলে।