সাভারে বাবাকে হত্যার অভিযোগে মেয়ের আত্মসমর্পণ: ধর্ষণের অভিযোগে চলছিল মামলা | Daily Chandni Bazar সাভারে বাবাকে হত্যার অভিযোগে মেয়ের আত্মসমর্পণ: ধর্ষণের অভিযোগে চলছিল মামলা | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১০ মে, ২০২৫ ২৩:২৩
সাভারে বাবাকে হত্যার অভিযোগে মেয়ের আত্মসমর্পণ: ধর্ষণের অভিযোগে চলছিল মামলা
চাঁদনী ডিজিটাল ডেস্কঃ

সাভারে বাবাকে হত্যার অভিযোগে মেয়ের আত্মসমর্পণ: ধর্ষণের অভিযোগে চলছিল মামলা

ছবি- সংগৃহিত

ঢাকার সাভারে বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা এক তরুণী ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর নিজেই জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন করে হত্যার বিষয়টি জানিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ভোরে সাভারের একটি ভাড়া বাসা থেকে ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি (৫৭) অনলাইনে কাপড় বিক্রি করতেন।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে এবং মেয়েটিকে আটক করে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানান, ২০১৯ সাল থেকে তার বাবা বিভিন্ন সময়ে তাকে ধর্ষণ করতেন। এ বিষয়ে ২০২৩ সালে নাটোরে একটি আদালতে ধর্ষণের মামলা করেন তিনি। মামলার পর থেকে বাবা তাকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিতে থাকেন এবং পাল্টা চুরির মামলা দিয়ে হয়রানিও করেন।

পরবর্তীতে চলতি বছরের শুরুতে সাভারের একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন বাবা। কিছুদিন পর মেয়ে তার কাছেই গিয়ে থাকতে শুরু করেন। অভিযোগ, এরপর থেকে বাবার চাপ ও মানসিক নির্যাতন আরও বাড়ে।

পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে মেয়েটি খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাবাকে খাওয়ান। ভোররাতে তিনি বাবার শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাত করেন। এর আগে বাসার সাবলেট অংশে থাকা ভাড়াটিয়াদের কক্ষ বাইরে থেকে তালা দিয়ে দেন, যাতে কেউ বাধা দিতে না পারেন।

নিহতের স্ত্রী ছিলেন মেয়েটির মা, যিনি ছিলেন তার তৃতীয় স্ত্রী। মেয়েটির বয়স যখন পাঁচ, তখন তার মা মারা যান। এরপর থেকে মেয়েটি বাবার সঙ্গে থেকেই বড় হন।

ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের মাঝে এ ঘটনায় চরম হতবাক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। পুলিশ বলছে, প্রাথমিক তদন্ত ও তরুণীর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, যার পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের পারিবারিক নির্যাতন ও মানসিক চাপ।