
আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বগুড়ায় প্রস্তুত করা হয়েছে বিশাল আকৃতির গরু ‘বাহাদুর’। ১,২৩০ কেজি ওজনের, ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার সাদা-কালো বাহাদুর এখন জেলার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে এত যত্নে লালন-পালন করা গরুটি বিক্রি নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন খামারি রবিউল করিম রবিন।
বগুড়া শহরের মালিতনগরে এমএস ক্লাব মাঠের পাশে অবস্থিত 'ভাই ভাই ডেইরি' খামারে লালিত বাহাদুরকে হাটে তুলতে হলে প্রয়োজন বড় আকারের ট্রাক, যা পাওয়া ও ব্যবস্থাপনা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। উঠানো ও নামানোর প্রতিটি ধাপে রয়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। তাই রবিন খামার থেকেই গরুটি বিক্রি করতে আগ্রহী।
রবিউল করিম জানান, বাহাদুরের দাম তিনি চাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। তবে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রস্তাব পেয়েছেন। তিনি বলেন, “বাহাদুরকে আমি সন্তানের মতো করে বড় করেছি। বিক্রি করতে মন চায় না, কিন্তু বাস্তবতার কারণে বাধ্য হচ্ছি।”
খামারটি ১৯৬৫ সালে মাত্র একটি গরু দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন রবিনের বাবা আমজাদ হোসেন। বর্তমানে রবিন ও তার ভাই রাশেদুল ইসলাম মিলে খামার পরিচালনা করছেন। এবছর কোরবানির জন্য তারা প্রস্তুত করেছেন মোট ১৩টি গরু। তারা প্রাকৃতিক খাদ্য যেমন ভুষি ব্যবহার করে গরু মোটাতাজা করেন এবং বয়লার ফিডের বিপক্ষে।
বগুড়া সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রায়হান বলেন, “ভাই ভাই ডেইরি ফার্ম জেলার একটি পুরনো ও পরিচিত খামার। তারা প্রকৃতিপন্থায় গরু লালন করে যা স্বাস্থ্যসম্মত। বাহাদুর এখন কোরবানির হাট নয়, বরং পুরো বগুড়ার আগ্রহের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।”