
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ৮ আগস্ট নয় বরং ৫ আগস্টকে ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার (২৭ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দাবি জানান।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “যেদিন ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করা হয়েছিল, সেদিনই প্রকৃত ‘নতুন বাংলাদেশের সূচনা’ হয়েছিল। কাজেই ৫ আগস্টই হওয়া উচিত নতুন বাংলাদেশ দিবস।”
সরকার ঘোষিত তিন দিবস
এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২৬ জুন এক পরিপত্রে তিনটি দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের ঘোষণা দেয়:
৫ আগস্ট: ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ (ক শ্রেণিভুক্ত)
৮ আগস্ট: ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ (খ শ্রেণিভুক্ত)
১৬ জুলাই: ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ (খ শ্রেণিভুক্ত)
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, প্রতি বছর যথাযথ মর্যাদায় এই দিবসগুলো পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গণআন্দোলনের পটভূমি
২০২৪ সালের জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার, ন্যায্য মজুরি ও বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতার দাবিতে শুরু হয় ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন।
১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তাকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’-এর প্রথম শহীদ ঘোষণা করে আন্দোলনের গতি আরও বেগবান হয়।
এই ধারাবাহিকতায়, ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের পর ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।
জামায়াত আমিরের যুক্তি
ডা. শফিকুর রহমান তার পোস্টে বলেন,
“৫ আগস্ট ছিল জনগণের বিজয়ের দিন, স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামের চূড়ান্ত মুহূর্ত। যেদিন পুরনো বাংলাদেশের অবসান ঘটেছিল। ৮ আগস্ট প্রশাসনিক দিক থেকে সরকার গঠন হলেও, প্রকৃত অর্থে নতুন বাংলাদেশ যাত্রা শুরু হয়েছিল ৫ আগস্টেই।”